কেন্দ্রীয় সরকারের এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব গোটা দেশ। কোথাও কোথাও এই বিক্ষোভ হিংসার রূপ নিয়েছে। সংঘর্ষের মধ্যে পরে প্রাণহানিও হয়েছে। এবার এবিষয়ে মুখ খুললেন দেশের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, ‘যাঁরা আগুন জ্বালানোর ও হিংসার ঘটনা ঘটানোর নির্দেশ দেন, তাঁরা কখনওই লিডার নন।’ তার বক্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করে। সেনাপ্রধান দেশের সুরক্ষা নিয়ে কথা বলতে পারেন কিন্তু হঠাৎ করে রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছেন কেন? উঠছে প্রশ্ন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিপিন রাওয়াতের এই মন্তব্যেই বোঝা যাচ্ছে সেনাপ্রধান আদতে কার হয়ে কথা বলছেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা বিপিন রাওয়াতের। তার আগে দিল্লীতে একটি অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে সাধারণের বিক্ষোভকে নিয়ে মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান।
সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেন, “লিডারের কাজ হচ্ছে নেতৃত্ব দেওয়া। আর নেতৃত্ব দেওয়া এত সহজ কাজ নয়। কারণ যখনই আপনি কোনও দিকে যাবেন, সবাই আপনাকে অনুসরণ করবে। দেখে মনে হয় নেতৃত্ব দেওয়া খুব সহজ কাজ। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই সহজ নয়। তাঁরাই নেতা, যাঁরা মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে যান। কিন্তু যাঁরা মানুষকে ভুল বোঝান, তাঁরা কখনওই লিডার হওয়ার যোগ্য নন। আমরা দেখছি হাজার হাজার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হিংসার দিকে যাচ্ছে তারা। আগুন জ্বলছে। সংঘর্ষ হচ্ছে। যাঁরা এটা করছেন তাঁরা লিডার নন।”
কংগ্রেসের এক মুখপাত্র ব্রিজেশ কালাপ্পা টুইট করে জানান, ‘‘সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত সিএএ-র প্রতিবাদ নিয়ে কথা বলেছেন যা সাংবিধানিক গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। আজ যদি সেনা প্রধানকে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে দেওয়া হয়, তাহলে তা কাল তাঁকে সেনা দখলের অনুমতিও দিতে পারে।”