২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বংশধর চন্দ্র বসু। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তিনি সম্প্রতি এমন একটি টুইট করেছেন যাতে বিজেপি নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়বে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিতর্কের মাঝে চন্দ্র বসু টুইটে লিখেছেন, ‘ওই আইনের সঙ্গে যদি ধর্মের সম্পর্ক নাই থাকবে, তাহলে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের কথা উল্লেখ করা আছে কেন? মুসলমানদেরই বা ওই তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে না কেন? এ ব্যাপারে স্বচ্ছতা থাকা উচিত।’
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। বিজেপির জোট শরিকদের অনেকেই ওই আইনের বিরোধিতা করেছেন। এনডিএ-র শরিক ইউনাইটেড জনতা দলের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিহারে এনআরসি করবেন না। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিও একই কথা জানিয়েছেন। শিরোমণি অকালি দল দাবি করেছে, উদ্বাস্তু মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। বিজেপির কয়েকজন প্রাক্তন নেতাও ওই আইনের বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু একেবারে বিজেপির ঘরের ভেতর থেকে ওই আইনের বিরোধিতা এতদিন তেমন কেউ করেননি। এবার চন্দ্র বসু সেটাই করলেন।
তবে চন্দ্র বসু বিরোধিতা করলেও বিজেপি কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মতামত সংগ্রহের কাছে ব্যাপক ভাবে নেমে পড়েছে। এমনকি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আইনটির পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছে তারা।