মন্দার বাজারে তলানিতে ঠেকেছে চাহিদা। আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে কমছে জিএসটি থেকে আয়। রাজকোষের হাল এতটাই করুণ যে, রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণও মেটাতে পারছে না মোদী সরকারের অর্থ মন্ত্রক।
সংবিধান সংশোধন করে খোদ কেন্দ্রই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, জিএসটি থেকে রাজ্যগুলির পর্যাপ্ত আয় না হলে সেই ক্ষতি পূরণ করে দেওয়া হবে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের আশঙ্কা, অর্থনীতির ঝিমুনির ঠেলায় সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ হতে পারে মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, জিএসটির আওতায় বিলাসবহুল ও ক্ষতিকারক পণ্যে বাড়তি সেস বসিয়ে কেন্দ্রের যে আয় হয়, তা থেকেই রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থনীতির ঝিমুনির ফলে বাজারে কেনাকাটা কমেছে। যে কারণে জিএসটি বাবদ আয় কমেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের। কমে গিয়েছে সেস বাবদ আয়ও।
অর্থ মন্ত্রকের অনুমান, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের শেষে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যগুলিকে প্রায় ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা দিতে হবে। কিন্তু সেস বাবদ আয় হবে ৯৭,০০০ কোটি। বছরের শুরুতে সেস তহবিলে ৪৮,০০০ কোটি ছিল। ফলে কেন্দ্রের মোট আয় দাঁড়াবে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এর পরেও ১৫,০০০ কোটি টাকার ঘাটতি থেকে যাবে।
উল্লেখ্য, জিএসটি চালুর সময় ঠিক হয়, ২০১৫-১৬ সালের ভিত্তিতে প্রতি বছর ১৪ শতাংশ হারে রাজ্যগুলির রাজস্ব আয় বাড়বে। না হলে সেই ঘাটতি মিটিয়ে দেবে কেন্দ্র। মন্ত্রকের কর্তাদের আশঙ্কা, বাজারে চাহিদার যা অবস্থা, তাতে কোনও রাজ্যেরই ওই হারে রাজস্ব আদায় বাড়বে না। ফলে ক্ষতিপূরণের দায়ও অনেক বেশি হবে কেন্দ্রের।
সেই আগস্ট থেকেই জিএসটির ক্ষতিপূরণ মিলছে না বলে সরব রাজ্যগুলি। চলতি মাসে জিএসটি পরিষদের বৈঠকের আগে কেন্দ্র অগস্ট-সেপ্টেম্বরের ক্ষতিপূরণ দিলেও, এখনও অক্টোবর-নভেম্বরের ক্ষতিপূরণ দেওয়া বাকি। যা নিয়ে বিরোধী রাজ্যগুলির সঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও সরব হয়েছে। কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের দাবি, তাদের প্রায় ৩,৫০০ কোটি বকেয়া।