সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে গোটা দেশ এনআরসি হবে। ততদিনে আসাম দেখেছিল এনআরসিতে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাওয়ার ঘটনা। এরপরই উত্তরপূর্ব জুড়ে প্রতিবাদের সুর চড়তে থাকে। যাঁর আঁচ পরবর্তীকালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হতেই টেন পায় আসাম-সহ ত্রিপুরা, মেঘালয়। এবার খোদ আসামের বিজেপি মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই এনআরসি নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করলেন।
আসাম বিজেপি যে এনআরসি ইস্যুতে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে, তা ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র যদি মনে করেই থাকে যে এনআরসি এখন লাগু হবে না, তাহলে নতুন করে একটি এনআরসি বিষয়ক তালিকা পাঠানো হোক।’ আসাম বিজেপির সদস্য তথা সেরাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেন, ‘আমরা ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস যা প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে খুশি নই। যদি জাতীয়স্তরে এনআরসি না হয়, তাহলে এর পর্যালোচনা নিয়ে ভাবতে হবে বা নতুন এনআরসি চাই। যে এনআরসি প্রকাশিত হয়েছে তা আমরা মেনে নেব না।’ পাশপাশি তাঁর দাবি, আসামের সীমান্তের জেলাগুলিতে ২০ শতাংশ নাম ফের একবার পর্যালোচনা করা হোক। যে পর্যালোচনা ছাড়া নতুন প্রকাশিত এনআরসি বিজেপি শাসিত আসাম সরকার মানতে চাইছে না। তবে তিনি জানান, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলব’।
এনআরসি ও অসম প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৩১ অগাস্ট অসমে প্রকাশিত হয়েছিল এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। যা ঘিরে আতঙ্কের প্রহর গুনেছেন বহু অসমবাসী। যে তালিকায় নাম বাদ গিয়েছে,১৯,০৬,৬৫৭ জনের। যারপর থেকেই অসমের বিজেপির সরকার কার্যত ব্যাপক অস্বস্তিতে রয়েছে। এদিকে, গোটা দেশে নাগরিকত্ব ইস্যুতে অশান্তির পর অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারও এবারএনারসি নিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিজেপি সরকারের দিক থেকে। যদিও অন্ধ্রপ্রদেশে জগনের ওয়াইএসআর কংগ্রেসই সংসদে সিএএ বিলকে সমর্থন জানিয়েছিল। তবে এনআরসি চালু করতে তাঁরা নারাজ। এনআরসি ও সিএএ নিয়ে দেশজুড়ে বিরোধিতা ক্রমেই বাড়ছে৷