সকাল থেকেই ভোট গণনা যে দিকে তাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়েই রয়েছে কংগ্রেস-জেএমএম জোট। সুতরাং বলাই যায়, ঝাড়খণ্ড কার্যত হারিয়ে ফেলতে বসেছে বিজেপি। ৮১ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪১, আর এই মুহূর্তে কংগ্রেস জোট এগিয়ে ৪২ টি আসনে। ঝাড়খণ্ডে পালাবদল হলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে শিবু সোরেন পুত্র হেমন্ত সোরেন।
স্বভাবতই খুশি বাবা শিবু সোরেন৷ এক সাক্ষাতকারে জেএমএম সুপ্রিমো শিবু সোরেন জানান, হেমন্তই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। ফলাফল আগেই জানতাম৷ জমি অধিগ্রহণ আইন দরকার ছিল না৷ বিজেপি যা করেছে, তারই ফল পাচ্ছে৷ জোট সরকার মানুষের জন্য কাজ করবে৷’
কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোটের নেতারা ইতিমধ্যেই জয়ের উৎসব শুরু করে দিয়েছেন৷ চলছে মিষ্টি বিতরণও৷ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘোষণাও করা হয়েছে, সরকার তারাই গড়ছেন৷ আর জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত সোরেনই৷
২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জোটসঙ্গী ছিল আজসু (অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন)। এ বার তারা আলাদা ভাবে লড়েছে। গত বিধানসভায় বিজেপির দখলে ছিল ৩৭টি আসন। এবার সিএএ বিরোধিতার মধ্যে দিয়েই হয়েছে ভোটগ্রহণ। সুতরাং তার যে প্রভাব বিজেপির ওপর পড়বেই তা আন্দাজ করাই গিয়েছিল। যদিও এইসবকে পাত্তা দিতে একেবারেই নারাজ গেরুয়া শিবির। যদিও বুথ ফেরৎ সমীক্ষাতে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছিল যে ঝাড়খণ্ড হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির। বাস্তবেও সেটাই দেখা যাচ্ছে।