নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। সেই ঝড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মোদী সরকার। এই ঝড়ে বিপর্যস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম উত্তরপ্রদেশ। এমনকি এই ঝড়ের প্রকোবে বেসামাল খোদ রাজধানী। এবার এই আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে গুলি চালানোর কথা বললেন দিল্লীর বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। নতুন আইনের সমর্থনে নয়াদিল্লীতে একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। মিছিলের ভিডিয়ো পোস্ট করে কপিল দাবি করেন এটি ‘শান্তি মিছিল।’ সেই ‘শান্তি’ মিছিলেই নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘গোলি মারো শালো কো। সংসদে জিততে পারলে রাস্তায় জিততে পারব না?’’ আগেও সাম্প্রদায়িক কথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন আপ ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া কপিল।
মেঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনাকে সমর্থন করে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক এইচ রাজাও বলেছেন, ‘‘গুলির জবাব গুলিতেই দেওয়া হবে। গুলির বদলে গুলি তো চলবেই।’’ আরএসএস প্রচারক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করা, তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতা রাজা বরাবরই বিরোধী রাজনৈতিক নেতা এমনকি অপছন্দের প্রশ্ন করা সাংবাদিকদেরও ‘দেশদ্রোহী’ বলেই অভিহিত করেন। নয়া নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে দু’জনের মৃত্যুর পরে তিনি গতকাল বলেন, ‘‘যারা মারা গিয়েছে,
তারা কয়েকশো মানুষকে মারতে চেয়েছিল। পুলিশকেও আক্রমণ করেছিল। তাই ওদের গুলি করা ছাড়া পুলিশের আর কোনও রাস্তা ছিল না। পুলিশকে পাল্টা গুলি চালাতে হয়েছিল।’’
এর আগে স্বয়ং রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গাড়ি বলেছিলেন, এই আন্দোলনের জেরে রেলের সম্পত্তি নষ্ট হতে দেখলেই এ বার গুলি চালানো হবে। এমনকি, সংখ্যাগুরুরা ধৈর্য হারালে গোধরা-পরবর্তী পরিস্থিতি তৈরি করার হুমকি দিয়েছিলেন কর্নাটকের বিজেপি সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী সি টি রবি। এইভাবে সারা দেশের সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে গুলি করার নির্দেশ জারি করেছেন বিজেপি নেতৃত্বরা।