দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিক আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির ব্যাপক প্রতিবাদ আন্দোলন চলছেই। তবে এই বিক্ষোভ যাতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্যই প্রায়ই ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে থাকে পুলিশ-প্রশাসন। জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলা, বিহার বা অসম- সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই কম বেশি সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল ইন্টারনেট। এবার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ জেরে ইন্টারনেট বন্ধ করার প্রবণতায় গোটা বিশ্বে লজ্জাজনক অবস্থান ভারতের।
ইন্টারনেট বিষয়ক সংস্থা অ্যাকসেস নাও-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-তে ইন্টারনট বন্ধ রাখায় বিশ্বে শীর্ষস্থানে ছিল এই দেশ। গোটা বছরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘটনা বিশ্বের তুলনায় ভারতে ৬৭%।
অ্যাকসেস নাও-এর রিপোর্টে দেখা গেছে, চিন বা উত্তর কোরিয়াতেও এত বেশি সময়ের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়নি, যত ভারতে হয়েছে। ২০১২-র জানুয়ারি থেকে ভারতের মোট ৩৭৩টি ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘটনা ঘটেছে। এমনই রিপোর্ট আরেক সংস্থা সফ্টওয়ার ফ্রিডম ও ল সেন্টার-এর।দেশে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। ২০১২ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৮০-র বেশি ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশ জারি করা হয়েছে।