বড়পর্দায় এই প্রথম বার আসতে চলেছে প্রোফেসর শঙ্কু। সন্দীপ রায়ের এই প্রথম প্রয়াস নিয়ে দর্শকও উচ্ছ্বসিত। সন্দীপ রায় প্রথম থেকেই বলেছিলেন, ইচ্ছে থাকলেও এতো দিন প্রোফেসর শঙ্কুকে বড়পর্দায় আনতে পারেননি কারণ, কম্পিউটর গ্রাফিক্সের উন্নতমানের কাজ। এবার সব বাধা কাটিয়ে বড়পর্দায় আনা হল প্রোফেসর শঙ্কু।
সত্যজিৎ রায়ের জনপ্রিয় এই গল্পের প্রতিটি বাঁক সকলের জানা। শুধু দেখার সন্দীপ রায় কীভাবে শঙ্কুর দিনলিপিটি সাজিয়েছন। আসলে এই ছবি এবং তার গল্পটাই দাঁড়িয়ে আছে ‘বিশ্বাস’-এর উপরে। নকুড়চন্দ্র বিশ্বাস। বলের আকার ধরে শূন্যে ভেসে বেড়ানো বিদ্যুৎ যদি কারও খুব কাছাকাছি এক্সপ্লোড করে তাহলে সেই ‘বল লাইটনিং’-এর ফলে মানুষের মধ্যে এক বিরাট পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে।
ছবির শুরুতেই সুন্দরবনে এক অগ্নিপিণ্ড পড়ার কাহিনী জুড়ে তারক নামে এক লেখকের শঙ্কুর ডায়রি খুঁজে পাওয়ার ঘটনা জুড়ে দিয়েছেন। ধ্বংস স্তুপের মাঝে পড়ে থাকা ডায়রিটি অমন অক্ষত এবং পরিপাটি কেন, কোনও খুদে দর্শক তা তুলতেও পারে।
বাংলা সিনেমায় এরকম স্পেশাল এফেক্টস সত্যিই অভাবনীয়। আর বাংলা ছবির বাজারে ব্রাজিলে গিয়ে শুট করা সত্যিই একটা বড় ব্যাপার। এছাড়া আমাজন তো আছেই। শঙ্কুর চরিত্রে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় অনবদ্য। আর শুভাশিস মুখোপাধ্যায় ছাপিয়ে গিয়েছেন নিজেকেই।
তবে এটুকু বলা চলে এই স্বল্প পরিসরে সন্দীপ রায় ব্রাজিলের বৃষ্টি জঙ্গল, আমাজন নদের শাখা-উপশাখার অন্দরমহল, চুকামাহাই উপজাতিদের অকস্মাৎ আক্রমণের সঙ্গে কম্পিউটর গ্রাফিক্সের ব্যবহারকে সুন্দর, মসৃণভাবে মিলিয়ে দিয়েছেন।