‘আমরা কারা, নাগরিক’, এই স্লোগানকে সামনে রেখে নাগরিকত্ব সংশোধিনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের স্বর আরও জোরালো করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছর তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসকে ‘নাগরিক অধিকার দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে বলে শুক্রবার ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে সোমবার থেকে বছর শেষ পর্যন্ত একগাদা ঠাসা প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী। সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় সোমবার বাংলাজুড়ে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক তৃণমূলের। পাশাপাশি ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার রাজপথে ফের প্রতিবাদ মিছিল করবে মমতা বাহিনী।
শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘সোমবার বাংলাজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করবে তৃণমূল। সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় প্রত্যেক মহকুমায় শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করা হবে। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে বেলেঘাটায় গান্ধী ভবন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল। বেলা ১২টায় জমায়েত হবে। ২৬ ডিসেম্বর দমদম, কামারহাটি এলাকায় মিছিল করবে তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস। ২৭ তারিখ সিঙ্গুর থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল। ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৫ টা পর্যন্ত সব বিধানসভা কেন্দ্রে ধর্ণা চলবে। ১ তারিখ তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস অবার নাগরিকদের উৎসর্গ করে ‘নাগরিক অধিকার দিসব’ পালন করা হবে।’
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতার রাজপথে গর্জে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। টানা তিন দিন মহামিছিল করেছেন মমতা। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাণি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে এনআরসি-সিএএ-র প্রতিবাদে সভাও করেছেন মমতা। সেই সভা থেকে মোদী সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মমতা বলেছেন, ‘বুকের পাটা থাকলে এনআরসি- সিএএ নিয়ে গণভোট করা হোক।রাষ্ট্রসঙ্ঘকে দিয়ে আয়োজন করানো হোক। দেখা যাক, কতজন আইন মানছেন। হারলে আপনারা ইস্তফা দিতে বাধ্য হবেন।’ এদিকে আজ শুক্রবার পার্ক সার্কাস ময়দানে সভা করবেন মমতা।