ক্যাব নিয়ে দেশের প্রায় সব রাজ্যেই কম-বেশি বিক্ষোভ চলছে। খোদ দিল্লীতেও সেই আঁচ পড়েছে। রাস্তা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনগুলোতেও চলছে প্রতিবাদের ঝড়। রবিবার নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়ারা। তাঁদের মিছিল পুলিশ আটকালে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশের হাতে আক্রান্ত হন পড়ুয়ারা। ক্রিকেটার ইরফান পাঠান এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেন। তিনি ট্যুইট করে জানান, ‘রাজনৈতিক দোষ চাপানউতোরের খেলা চিরকাল চলবে। কিন্তু আমি ও আমার দেশ জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।’
জামিয়ার পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর পর থেকেই তীব্র সমালোচনার শিকার হতে শুরু করেন ভারতের প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। তবে এ দেশের নাগরিক হিসেবে তাঁর মনের কথা বলার সমস্ত অধিকার রয়েছে বলে পালটা নেটিজেনকে এক হাত নিয়েছেন ইরফান।
একটি সাক্ষাৎকারে ইরফান বলেছেন, ‘একটা ব্যক্তিগত ঘটনার কথা বলি। ২০০৪-এ রাহুল দ্রাবিড়, এল বালাজি এবং পার্থিব প্যাটেলদের সঙ্গে লাহোরে পাকিস্তানের সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম। সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরপর্বে একটি মেয়ে আমায় জিজ্ঞেস করেছিল, মুসলমান হয়েও কেন আমি ভারতের জন্য খেলি। আমি বলেছিলাম, আমি ভারতের জন্য খেলে কোনও মহত কাজ করছি না। এটা আমার দেশ। আমি এই দেশের প্রতিনিধিত্বই করব।…’
প্রসঙ্গ টেনে ইরফানের দাবি, ‘পাকিস্তানে একটি পাবলিক ফোরামে যদি এ ধরনের মন্তব্য করতে পারি তবে এই দেশে কেন পারা যাবে না। সমাজের কোনও বিষয় নিয়ে নিজের মন্তব্য তুলে ধরা কখনওই অপরাধ হতে পারে না। আমি কি দেশের জন্য কিছুই করিনি?’ এরই সঙ্গে ইরফানের আবেদন, ‘প্রতিবাদের নামে হিংসা যেন না ছড়ানো হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজবে কান দেবেন না।’