গত সপ্তাহেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না তিনি। কার্যকর করা হবে না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনও। তার সুরে সুর মিলিয়েই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিং, মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ ও অন্যরা জানিয়ে দেন যে তাঁরাও নিজেদের রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না। এবার উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও জানিয়ে দিলেন, এনআরসি মানবে না উড়িষ্যা। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমরা এনআরসি সমর্থন করি না। লোকসভা ও বিধানসভায় বিজু জনতা দলের সাংসদেরা এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। বিভিন্ন রাজ্যে সিএএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। আগুন জ্বলছে আসাম, ত্রিপুরা-সহ গোটা উত্তর-পূর্বেই। পড়শি রাজ্য বাংলাতেও সিএএ-র প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন মমতা। সিএএ রদের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেসও। এই প্রেক্ষিতে এনআরসি নিয়ে নিজের দলের অবস্থান যেভাবে স্পষ্ট করলেন নবীন পট্টনায়েক, তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। অন্যদিকে, বিজেডির সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে অনেকটাই অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির।