জামিয়ার ঘটনা তোলপাড় ফেলেছে সারা দেশে৷ এবার আমেরিকার নামী বিশ্ববিদ্যালগুলির পড়ুয়ারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধারালো আক্রমণ করলেন৷ বিভিন্ন নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০০ ছাত্র-ছাত্রী ও প্রাক্তনী অমিত শাহকে টার্গেট করে বলেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পুলিশের বর্বরতা বন্ধ করুন৷ নয়তো পদত্যাগ করুন৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়ে আইন হওয়ার আগে বিক্ষিপ্ত ভাবে উত্তরপূর্ব ও বাংলায় আন্দোলন হচ্ছিল৷ এবার তা সারা দেশে ছড়িয়েছে৷ পড়ুয়াদের গর্জন অমিতের কানে পৌঁছাচ্ছে? মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা অমিত শাহকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনার দ্রুত, স্বাধীন ও শক্তিশালী তদন্ত করতে হবে৷ দিল্লী পুলিশ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, সিআরপিএফ-এর বিরুদ্ধে তদন্ত চান তাঁরা৷
এই আন্দোলন পাশে পেয়েছে বিশ্বের তাবড় বিশ্ববিদ্যালয়কে৷ হাভার্ড, ইয়েল, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন৷ তাঁরা এক বিবৃতিতে বলেছে, দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের নিগ্রহ বর্বর চেহারা নিয়েছে৷ তাঁদের কথায় পুলিশ বিনা অনুমতিতে জামিয়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আন্দোলন দমন করতে হিংসাত্মক পথ বেছে নেয়৷ এই কারণে পুলিশের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে অমিত শাহর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা৷
জামিয়া পাশে পেয়েছে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কেও৷ প্রতিবাদে সোচ্চার আইআইএম-মুম্বই ও আইআইটি-মাদ্রাজ-সহ বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের ছাত্রছাত্রীরা সোমবার সব ক্লাস বয়কট করেন৷ সকালের হাড়-কাঁপানো ঠান্ডায় গেটের সামনে খালি গায়ে বিক্ষোভ দেখান জামিয়ার একদল ছাত্র। জামিয়ার ঘটনা ও সিএএ-র প্রতিবাদে বেঙ্গালুরুর আইআইএস, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদের মৌলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভে সামিল হন ছাত্রীরা। এরপর এদিন সরকারকে খোলা চিঠি লেখেন হার্ভার্ডের পড়ুয়ারা৷