নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। বিভিন্ন নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গর্জে উঠেছে ছাত্রছাত্রীরা। যার ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে রাজধানীতে। যা নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যেই সময় দেশে চাকরির প্রয়োজন সবথেকে বেশি, সেই সময় নাগরিকত্ব আইন করার মানেটা কী? এমনটাই জানতে চান আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল। দেশের করুণ আর্থিক পরিস্থিতির থেকেই নজর ঘোরাতেই এত হৈচৈ নয়তো, সেটাও ভাবাচ্ছে তাঁকে। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের ওপর কেন্দ্রের পুলিশ যেভাবে অত্যাচার চালিয়েছে, তা হৃদয় বিদারক বলেও জানিয়েছেন অরবিন্দ।
যে বিল গোটা দেশে আগুন জ্বালায়, ছাত্র সমাজকে পথে নামতে বাধ্য করে, একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্প্রীতি নষ্ট করে, সেরকম বিল আনার বা পাশ করার প্রয়োজনটাই নেই, এমনটাই মত দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার দিল্লীর একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, ‘মন্দা এবং বেকারত্ব নিয়ে দেশ নাজেহাল হচ্ছে, চাকরির বাজার কমে যাচ্ছে ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই যাচ্ছে। এগুলো একটা দেশের জন্য অনেক বড় সমস্যার বিষয়। সরকারের উচিত সেগুলোকে দেখা।’
জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে কেজরিওয়াল বলেন, ‘ছাত্ররা কেন পথে নামতে বাধ্য হয়েছে সেটা দেশ হিসেবে ভেবে দেখা উচিত আমাদের। ওরাই আমাদের ভবিষ্যৎ, তাই ওদের বক্তব্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শোনা উচিত আমাদের।’ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের উচিত একসঙ্গে বসে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত বলেও মনে করেন কেজরিওয়াল।