সোমবার লোকসভায় প্রায় ৭ ঘণ্টার হই-হট্টগোলের পর মধ্যরাতে পাশ হয়েছিল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(ক্যাব)। আর তারপর দীর্ঘ বিতর্ক-আলোচনা চলার পর অবশেষে বুধবার রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে যায় তা। তবে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার পর থেকেই জ্বলছে দেশের উত্তর-পূর্ব অংশ। যেমন ক্যাব নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে আসাম। জনজাতিদের বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলন ও ধর্মঘটের জেরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানে। এর মধ্যেই এদিন মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে স্বাক্ষর করার পর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অসম।
এবার সেখানে বোমা বিস্ফোরণ হল। যা নিয়ে গোটা আসামে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। গতকাল থেকে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরও যেন থামছে না অশান্তির আগুন। তবে এখনও ১০টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা রয়েছে। এই ১০টি জেলা হল–লখিমপুর, তিনসুকিয়া, ডেমাজি, ডিব্রুগড়, চারাইদেও, শিবসাগর, জোরহাট, গোলাঘাট, কামরূপ (মেট্রো) এবং কামরূপ।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকে জনগণের কাছে আর্জি জানাতে হয়েছে যাতে রাজ্যে শান্তি বজায় থাকে। কিন্তু তারপরও শান্তি নেই এই রাজ্যে। তবে আসাম–ত্রিপুরার পর এই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে মেঘালয়ে। পরিস্থিতি যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে আরও জটিল হতে পারে।
এদিকে গুয়াহাটি এবং ডিব্রুগড়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী এবং আধাসেনা ফ্ল্যাগ মার্চ করছে। ভারত–জাপান শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তৈরি হওয়া তোরণ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্টে সেখানে লেখা হয়েছে ‘নো সিএবি’। অর্থাৎ এখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আন্দোলন ঠেকানো কার্যত চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিশেহারা মোদী সরকার।