আসামের নানা প্রান্তে উপজাতি ও বাঙালি ভাষাভাষিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতি ফের জটিল হতে শুরু করেছে। ত্রিপুরার চলতি হিংসা ও গোলমালের ঘটনা অনেকের মধ্যেই আশির দশকের ‘বাঙ্গালি খেদা’ আন্দোলনের স্মৃতি উসকে দিচ্ছে। যে আন্দোলন শুধু হিংসা ছড়ায়নি, উপজাতি ও অনুপজাতিদের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করেছিল।
এ দিকে শুধু আগরতলা শহরই নয়, রাজ্যের নানা প্রান্তেই আতঙ্কের পরিবেশ অব্যাহত। উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতেও অশান্তি অব্যাহত। বৃহস্পতিবার দিল্লীতে উপজাতিভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেখানে সমাধানের পথ স্পষ্ট হয়নি। উল্টে উপজাতিদের অধিকারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই হবে বলে শুনতে হয়েছে শাহকে।
বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলেছে জোটসঙ্গী আইপিএফটির প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মার বক্তব্য। নরেন্দ্রচন্দ্রর বক্তব্য, “আমরা বার বার নাগরিকত্ব বিলে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব না দেওয়ার কথা বলেছি। কারণ এ রাজ্যে উপজাতিরাই পীড়িত। রাজ্য সরকারের কাছে, এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও আবেদন করেছি বহুবার। কিন্তু পাত্তা দেওয়া হয়নি। সরকার কথা না শুনলে ওদের সঙ্গে (বিজেপি) জোট করা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে”।
৮০-এর দশকের শুরু থেকে ত্রিপুরায় মূল নিবাসী ও আদিবাসীরা অধিকারের জন্য রক্তক্ষয়ী আন্দোলন গড়ে তোলেন। তখন সেই আন্দোলনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিজয় রাংখল। তাঁর দল আইএনপিটি এ বারও রাস্তায় বিক্ষোভরত। আন্দোলন-বনধের নেপথ্যে রয়েছে সরকারে থাকা আইপিএফটিও। যাদের সমর্থন নিয়ে রাজ্যে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি।