নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে এতদিন অনশনে বসেছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। তবে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবশেষে সেই আন্দোলনের ইতি ঘটে। এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পার্শ্বশিক্ষকরা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরেই আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের নেতা রবিউল ইসলাম শেখ বলেন, ‘রাজ্য সরকার যথেষ্ট মানবিকভাবেই আমাদের দাবিদাওয়া দেখছে।’ তবে বাইরে যে প্রচার করা হচ্ছে, তাতে অনেকটাই মিথ্যে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘শিক্ষামন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট মানবিক ভূমিকাই নিচ্ছেন। কেন্দ্র যা দেয়, তা নিয়ে মিথ্যে রটানো হয়েছে। সেই তুলনায় রাজ্য যথেষ্টই আমাদের জন্য করছে।’ বাকি বেতনবৃদ্ধি-সহ আরও নানা দাবিদাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী খুব শীঘ্রই ক্যাবিনেটে আলোচনা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত পার্শ্বশিক্ষকরা। শুধু তাই নয়, অনশনে যোগ দিয়ে পার্শ্বশিক্ষকদের মৃত্যুর পর তাঁদের পেনশন-সহ আরও নানা ক্ষতিপূরণের বিষয়টি খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে বিকাশ ভবনের উল্টোদিকের ফুটপাতে অবস্থান করছেন পার্শ্বশিক্ষকদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণের বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে অনেকদিনই কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই অচলাবস্থার মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে শুক্রবার চিঠি দেওয়া হয় পার্শ্বশিক্ষকদের পক্ষ থেকে। এদিনের বৈঠকের পর তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে অবশেষে রফাসূত্র বেরোনোয় খুশি সবপক্ষই।