নাগরিকত্ব বিল সংসদের নিম্নকক্ষে পাস হয়ে গেছে, অপেক্ষা উচ্চকক্ষের অনুমোদন। আর সেখানেই প্রত্যাশিতভাবে বিরোধিতার ঝড় ওঠে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী পক্ষ থেকে। একের পর এক তিরে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছে বিরোধী সাংসদরা।
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা বলেন, “এত তাড়া কিসের? এই বিলটিকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো উচিত। বিলটি এমন ভাবে পাশ করানো হচ্ছে যেন মনে হচ্ছে দেশ বিশাল কোনও সমস্যায় পড়েছে। আমরা এই বিলের বিরোধিতা করছি। এই বিরোধিতার কারণ রাজনৈতিক নয়, এই বিরোধিতার কারণ নৈতিক ও সাংবিধানিক। এই বিল ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্রের উপরে আঘাত। এই বিল ভারতের আত্মার উপরে আঘাত, এই বিল নৈতিকতার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।”
কংগ্রেসের কপিল সিব্বল বলেন, যাঁদের এই দেশ সম্বন্ধে কোনও ধারনা নেই, তাঁরা এই দেশের ধারনাকে রক্ষা করতে পারবেন না। তিনি বলেন, “আমি জানি না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কোন ইতিহাস বই পড়েছেন। দ্বিজাতিতত্ত্ব আমাদের নয়, এই তত্ত্ব সাভারকরের তৈরি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিনি যে অভিযোগ এনেছেন তা প্রত্যাহারের জন্য আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি কারণ আমরা এক জাতিতে বিশ্বাসী এবং আপনারা নন।”
এই বিলকে অসাংবিধানিক বলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পালানিয়াপ্পান চিদম্বরম। আইনপ্রণেতারা বিষয়টি বিচারবিভাগের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন রাজ্যসভায়। পাশাপাশি তৃণমূলের প্রধান জাতীয় জাতীয় মুখপাত্র ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে জনগণ আন্দোলনে নামবে। আমরা গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের দিকে এগচ্ছি। নাৎসিদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।”