শহরে দূষণের পরিমাণ দিনকে দিন বাড়ছে তাই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর জোর দিল রাজ্য সরকার। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে রাজ্য সরকার এরই মধ্যে জীব বৈচিত্র্য পর্ষদ গঠন করেছে। পর্ষদের অধীনে জেলাস্তর থেকে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত ৪৫২টি কমিটি তৈরি করেছে পর্যদ।
দূষণের জেরে শুরু মেরু অঞ্চলের বরফ নয়, বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে একের পর এক প্রাণী। ক্ষতি হচ্ছে জীব বৈচিত্র্যে। পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে বসা গাছ গাছালি, লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী, এমনকি বনাঞ্চলে বসবাস করা বিশেষ সম্প্রদায়, যাদের জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে, সেইসব জীবজন্তু, উদ্ভিদের ভৌগোলিক অবস্থান কোথায়, তা সমীক্ষা করে চিহ্নিত করছে পর্ষদের অধীনে থাকা এই কমিটি।
কমিটির রিপোর্ট পর্ষদে জমা পরার পর ওইসব জায়গাগুলোকে জীব বৈচিত্র্য হেরিটেজ জোন হিসাবে ঘোষণা করবে সরকার। অর্থ্যাৎ বন্যপ্রাণী, বিশেষ সম্প্রদায়ের বিচরণ ক্ষেত্র, বা লুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ থাকা বনাঞ্চলের সংরক্ষণ করা। যার ফলে ওই সব জোনে কোন রকম আঘাত না হয় ,তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য।
পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে দার্জিলিংয়ের টুংলু ও ধোত্রে মেডিক্যাল প্ল্যান্টকে হেরিটেজ জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। হেরিটেজ জোন হিসাবে ঘোষণা হতে চলেছে ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড়, কনকদূর্গ, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে ডাঙা অংশকেও হেরিটেজ ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, জীব বৈচিত্র্য পর্ষদ জেলা ও ব্লক স্তরে কমিটি গঠন করে এই সমীক্ষার কাজ চালাচ্ছিল।