আদালত যাওয়ার পথেই গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল দোষীরা। সেখানেই দেহের ৭০% পুড়ে গিয়েছিল। বাঁচানোর জন্য উন্নাও থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল দিল্লীর একটি নার্সিংহোমেও। কিন্তু চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হয়নি। শেষ অবধি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় উন্নাও ধর্ষণকান্ডের সেই নির্যাতিতার। তারপরেই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি তোলা হয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ঘটনাস্থলে আসতে হবে এবং তাঁদের দাবীপূরণ করতে হবে।
যদিও শেষ অবধি সেই দাবি মতো আসেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী। তা সত্ত্বেও পুলিশের আশ্বাস পেয়ে নির্যাতিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে তাঁর পরিবার। সেসময় সেখানে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে ধর্ষকদের দ্রুত চরম শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। এরপরই কাজে গাফিলতির অভিযোগে উন্নাও জেলার বিহার পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউস অফিসার অজয় কুমার ত্রিপাঠি-সহ মোট সাতজন পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করল যোগী প্রশাসন। রবিবার বিকেলে তাঁদের বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়।
শনিবার রাতে দিল্লীর হাসপাতাল থেকে ২৪ বছর বয়সী ওই যুবতীর মৃতদেহ তাঁর গ্রামে পৌঁছয়। এরপরই সেখানে ভিড় জমাতে থাকেন অসংখ্য মানুষ। গিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভার দুই সদস্য স্বামীপ্রসাদ মৌর্য ও কমলরানি। সকালে সবাই যখন ওই যুবতীকে সমাধিস্থ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন রাজ্যের মন্ত্রীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে চরম শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। এরপরই পুলিশ কমিশনার গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘মৃতের পরিবারের দাবি মেনে একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। মৃতের বাড়ির লোক চাইলে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি নির্যাতিতার বোনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া মেয়েটির পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি খরচে বাড়িও তৈরি করে দেওয়া হবে।’ যদিও বাড়ি তৈরির কথায় বিরোধিতা করেছে নির্যাতিতার পরিবার।