পেঁয়াজ নিয়ে দেশ জুড়ে হাহাকার৷ যে হারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তাতে তা কিনতে গিয়ে চোখের জলে নাকের জলে হতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে৷ পেঁয়াজের ঝাঁজে এখন নাকানিচোপানি খাচ্ছে বহু রাজ্য। কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই, বরং পেঁয়াজের দামের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এবার সেই চিন্তা কিছুটা কমাতে সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টায় তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ছুটির দিনেই খাদ্যভবনে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বসল জরুরি বৈঠক। কীভাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়, আমদানি বাড়ানো যায় এবং কালোবাজারি তথা ফড়েদের দাপট রুখে মসৃণভাবে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে পেঁয়াজ-প্রবেশ ঘটানো যায় – এসব নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যে পেঁয়াজ চাষে শুরু হয়েছে খুব বেশিদিন নয়। রীতিমত গবেষণা, সমীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরিবেশ দেখে দক্ষিণের কয়েকটি জেলার নির্দিষ্ট অঞ্চলে পেঁয়াজ চাষ হয়। এবছরও জমিতে পেঁয়াজ ফলিয়েছেন চাষিরা। কিন্তু চলতি মরশুমে সেই পিঁয়াজ জমি থেকে বাজারে আসতে এখনও প্রায় একমাস সময় লাগবে। তখন হয়ত প্রয়োজনমতো জোগান থাকায় দামে কিছুটা রাশ টানা যাবে। কিন্তু ততদিন কি সেঞ্চুরি কোঠাতেই থাকবে পেঁয়াজের দাম? এই প্রশ্নের উত্তর বুঝে নিতেই খাদ্যভবনে ছুটির দিনে জরুরি বৈঠকের ডাক দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই সময়ের জন্য বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, হু হু করে পেঁয়াজের এমন দামবৃদ্ধির সুযোগে মধ্যস্বত্ত্বভোগী বা ফড়েরা কতটা লাভবান হচ্ছে, কোথাও গোপনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ মজুত করে তা চড়া দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে কি না, টাস্ক ফোর্সের নজরদারির এবিষয়ে কতটা কার্যকরী হবে, তাও ভেবে দেখার। অনেক সময়েই দেখা যায়, ফসলের প্রচুর দাম সত্ত্বেও চাষির লাভের অঙ্ক তেমন হয় না। কৃষক এবং ক্রেতাদের মাঝের স্তরে ফড়েদের দাপটই তার মূল কারণ। তাই এই বিষয়গুলোতেও নজরদারির বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।