তাঁর উন্নয়ন যজ্ঞে ভর করে আগেই পঞ্চায়েত-গ্রামোন্নয়নে দেশের অন্যান্য রাজ্যের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছে বাংলা। কিন্তু তাতে একেবারেই আত্মতুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং এবার গ্রামোন্নয়নের কাজে আরও গতি আনতে প্রত্যেক পঞ্চায়েত অফিসে একজন সরকারি আধিকারিককে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।
এঁরা সরকারের নোডাল অফিসার হিসেবে কাজ করবেন। সরকারি উন্নয়নের সুফল যাতে সাধারণ মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছয়, সেটা সুনিশ্চিত করাই হবে তাঁদের কাজ। গ্রামোন্নয়নের কাজে পঞ্চায়েত প্রধানদের সব রকম সাহায্য করবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই সম্প্রতি জেলাশাসকদের কাছে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
নবান্নের নজরে এসেছে, অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ঠিকমতো যাচ্ছে না। একশো দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাস যোজনা, গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এবার তা বন্ধ করতেই পঞ্চায়েতের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়াতে চাইছে তারা। সেই লক্ষ্যেই পঞ্চায়েতে নোডাল অফিসার নিয়োগের এই সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রাজ্যে ৩৩৫৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তার প্রতিটিতেই একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে। স্থানীয় ব্লক অফিস থেকে তাঁদের বাছাই করা হবে। ব্লক অফিসেরই কোনও আধিকারিককে এই দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হবে। তাঁদের কাজ সংশ্লিষ্ট বিডিও অথবা জেলাশাসকরাই ঠিক করে দেবেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাঁরা বিডিওকে রিপোর্ট করবেন।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন পঞ্চায়েতের কাজের পরিধি অনেকটা বেড়েছে। প্রধানের একার পক্ষে সবটা দেখা সম্ভব হয় না। নোডাল অফিসাররা তাঁদের সহযোগিতা করবেন। তাতে পঞ্চায়েতের কাজ আরও মসৃণ হবে। এতে প্রধানদের ক্ষমতা খর্ব হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। প্রধানরা যেমন কাজ করছেন, তেমনই করবেন।’