আশঙ্কা ছিলই। আর ঠিক সেটাই ঘটল। দেশবাসীর প্রার্থনা, চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ করে লড়াই থামল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার। গতকাল রাতে ১১টা ৪০ মিনিটে মারা গেলেন তিনি।
৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে মৃত্যুর সাথে অসম লড়াই লড়ছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা সম্ভাব্য পরিণতির কথা একপ্রকার জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরাও লড়ছিলেন। কিন্তু না, সবটাই বৃথা।
হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুনীল গুপ্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, লখনউয়ের কিং জর্জেস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে প্রথমে ভর্তি ছিলেন দগ্ধ তরুণী। অবস্থা ক্রমে খারাপ হওয়ায় সফদরজং হাসপাতালে তাঁকে উড়িয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। সেখানেই ডাক্তার শালাব কুমারের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট একটি আইসিইউ তৈরি করা হয়েছিল তাঁর জন্য। সফদরজং হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান শালাব কুমার জানিয়েছেন, তরুণীর ক্ষত দ্রুত বাড়ছিল। শুরু থেকেই তাঁর অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। শুক্রবার রাত ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। তরুণীকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
ধর্ষণের মামলার শুনানির জন্য আদালতে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন বছর তেইশের ওই তরুণী। তাঁকে আদালতে যেতে প্রথমে বাধা দেয় পাঁচ জন। তাদের মধ্যে শিবম ও শুভম ত্রিবেদী তরুণীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত। বাকিদের তরুণী চেনেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। হুমকিতে কান না-দেওয়ায় কাল ভোরে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয় তরুণীকে। তাঁর গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কোনও মতে পালিয়ে পুলিশকে ফোন করেন ওই তরুণী। রাতেই তাঁকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়।