২০১৪ তে ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন, কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়বেন। কিন্তু হচ্ছে ঠিক তার উল্টো। এবার ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকেই ক্রমে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। একের পর এক রাজ্য বিজেপির হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। বিশেষত মহারাষ্ট্রে ‘মহা বিকাশ আঘাড়ি’ সরকার গঠনের পর আরও একটি বড় রাজ্য থেকে বিজেপি শাসনের অবসান হতে চলেছে। প্রথমে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে। এরপর একে একে ছত্তিশগড়, কাশ্মীর ও মহারাষ্ট্রে। এরমধ্যেই পরপর অনেকগুলি রাজ্য থেকে বিজেপি বিদায় নিয়েছে। জুড়েছে শুধু কর্ণাটক। উড়িষ্যায় তো দাঁতই ফোটাতে পারেনি মোদি–শাহ জুটি। কিন্তু এসবের শেষে মহারাষ্ট্রে যা হল, তাতে একেবারে চুনকালি পড়ল দিল্লীতে বসে থাকা মোদী-শাহের মুখে।
আর তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভারতের ম্যাপ। যেটিতে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে বিজেপির শাসন ক্ষমতায় ছিল প্রায় ১৯টি রাজ্যে। আর ২০১৯ সালের নভেম্বরে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১৪। তার মধ্যে ভারতের বড় রাজ্যগুলির একটিও বিজেপির ক্ষমতাধীন নেই, একমাত্র উত্তরপ্রদেশ ব্যতীত। উত্তর পূর্ব ভারতের ছোট ছোট রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। কিন্তু তাতে রাজনৈতিক কোনও সুবিধা পাওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ। আর সেই জন্যই লোকে বলছে, বিজেপির বুঝি শেষের শুরু হয়েছে এবার। আর সেই শেষ হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় ক্ষমতার লোভে হয়ত আন্দাজ করতে পারেনি বিজেপি।
গতকাল মহারাষ্ট্র নাটকের যবনিকা পতনের পর শিবসেনার সেনাপতি সঞ্জয় রাউত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘মহারাষ্ট্র পরিবর্তনের সূচনা। দেশকে নতুন পথ দেখাবে এই রাজ্য। বিজেপি চেয়েছিল শিবসেনাকে থামাতে, কিন্তু বিরোধীরা একজোট হওয়ায় তা ব্যর্থ হয়েছে।’
কেউ কেউ আবার অন্য কথাও বলছেন। মোদী ছাড়া আর কোনও মুখ বিজেপির নেই। তাই রাজ্য স্তরে বিজেপিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন অনেক স্থানীয় দলের নেতারাই। দিন যত গড়াচ্ছে, তত আঞ্চলিক দলগুলির শক্তি বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে যদি আঞ্চলিক স্তরে বিজেপি আরও নতুন নেতৃত্ব তুলে না আনতে পারে, তাহলে আরও রাজ্য হারানোর সম্ভাবনা থেকে যাবে বিজেপির।