প্রবল মন্দার মধ্যে দিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি। আর এই মন্দা থাবা বসিয়েছে কাজের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে চিরাচরিত ক্ষেত্রে নতুন ৮ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৫৫ জন নতুন করে পেরোলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। অর্থাৎ প্রথাগত ক্ষেত্রে দেশে কর্মসংস্থানের হার খুবই মন্থর। এই গতি আরও কমতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে।
সরকারি পরিসংখ্যানই জানাচ্ছে, দেশের চিরাচরিত ক্ষেত্রগুলিতে গত আগস্ট মাসে পেরোলে যুক্ত হয়েছিলেন ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৮১ জন। জুলাই মাসে এই সংখ্যাটি ছিল ১১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৯ জন। জুন মাসে ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার ১০১ জন কর্মী পেরোলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। মে এবং এপ্রিল মাসে সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ১০ লক্ষ এবং ১০ লক্ষ ৪ হাজার।
সম্প্রতি, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে তা আগেই স্বীকার করে নিয়েছিল কেন্দ্র। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গাঙ্গোয়ার যে তথ্য দিয়েছিলেন তাতে স্পষ্ট, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে। ফলে আরও বেশি করে লোক বেকার হচ্ছেন। কৃষি বাদ দিয়ে অন্য সব ক্ষেত্রে জনসংখ্যার হার ২০১৩–১৪ সালে ছিল ৫৩.৭ শতাংশ৷ ২০১৫–১৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৫০.৫ শতাংশে৷ আর ২০১৭–১৮ সালে তা আরও কমে হয়েছে ৪৬.৮ শতাংশ৷