আগামীকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে ফডনবিশ সরকারকে। গোপন ব্যালটে আস্থা ভোট হলে চলবে না। করতে হবে লাইভ ফ্লোর টেস্ট। মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়েই প্রবল ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। সেইমতোই যখন আস্থাভোটের তোড়জোড় চলছে, ঠিক তখনই উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন এনসিপির অজিত পাওয়ার। এবার তিনি বিজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কিনা সেদিকে নজর রাখছেন পর্যবেক্ষকরা। অন্যদিকে, দু’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া দেবেন্দ্র ফডনবিশও ইস্তফা দিতে পারেন বলে জল্পনা। তবে এ নিয়ে বিজেপির তরফে কিছু জানানো হয়নি এখনও পর্যন্ত। সাংবাদিক বৈঠকে এই সংক্রান্ত ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার আচমকা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সেই সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন অজিত পাওয়ার। তিনি জানান, এনসিপির ৫৪ জন বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থন করছেন। সোমবার রাতে অবশ্য বিরোধী শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোট মুম্বইয়ের এক হোটেলে ১৬২ জন বিধায়ককে হাজির করায়। যাতে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় বিজেপি। আর এদিন সুপ্রিম রায়ের পড় বড়সড় ধাক্কা খায় তারা। যার ফলে জোটের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ২৭ হাজার কোটি টাকার সেচ দুর্নীতি মামলায় ক্লিনচিট পাওয়া অজিত আর কিছু ঘন্টা পরেই এবার পদত্যাগ করলেন।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই অজিতকে দলে ফেরাতে তৎপরতা শুরু হয় এনসিপিতে। অজিতকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে দলের তরফে খবর ছড়ায়। তার পরেই দফায় দফায় প্রথমে বিদ্রোহী ১৩ জন বিধায়ক এবং পরে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন এনসিপি সুপ্রিমো শপথ পওয়ার। সেখানে তিনি অজিতকে দলে ফিরে আসার আর্জি জানান বলে দলীয় সূত্রে খবর। শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলের স্বামী সদান্দও আলাদা করে অজিতের সঙ্গে দেখা করেন বলে খবর। এর পরেই দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে দেখা করে অজিত পওয়ার ইস্তফাপত্র জমা দেন বলে জানা গিয়েছে।