গত সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে সেই সময় প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়ে দক্ষিণবঙ্গে। তাই বাধ্য হয়ে উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করেছিলেন তিনি। তবে বুলবুলের প্রকোপ কাটতেই সোমবার কোচবিহার দিয়ে তাঁর সফর শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই কোচবিহারের প্রশাসনিক বৈঠক সেরে মঙ্গলবার প্রথমে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এবং তারপর মালদায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। মালদায় দলের নেতৃত্বকে একসঙ্গে চলার পরামর্শই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক করার আগে মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে দলীয় নেতাদের উপস্থিতিতে মমতা বলেন, ‘মালদায় আরও ফল ভাল করতে হবে আমাদের।’ জেলা সভানেত্রী মৌসম নুরকে নির্দেশ দেন একটা কমিটি গঠন করার জন্য। যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের ওই কমিটিতে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। মালদা জেলায় দলকে হাতের তালুর মতো চেনেন তৃণমূল নেত্রী। জেলায় দলের শক্তি ও দুর্বলতা সবই তাঁর জানা। সুতরাং তাঁর এই একসঙ্গে চলার বার্তা দলকে শক্তিশালী করবে বলেই মনে করছেন দলের নেতারা।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি, মৌসম নুর, মোয়াজ্জেম হোসেন, ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর মণ্ডল, জেলা যুব সভাপতি অম্লান ভাদুড়ী, জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূন রায় প্রমুখ। সকলকে নিয়ে ১৫ মিনিট বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘মালদার মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে। সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভোটে যাতে ভাল ফল করা যায়, তার জন্য মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পর জেলা নেতাদের নিয়ে এই প্রথম বৈঠক তাঁর। দলনেত্রীকে কাছে পেয়ে তাই আপ্লুত হয়ে পড়েন সকল নেতা-নেত্রীই। কেউ বলেন শহরের যানজটের কথা, কেউ বলেন টোটো সমস্যার কথা। সব মন দিয়ে শোনেন মমতা। বৈঠক শেষে মৌসম নুর বলেন, ‘তৃণমূল নেত্রী আমাদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছেন। জেলায় একটা কমিটি গড়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে গেছেন। আমরা সেটা দ্রুত করে ফেলব।’ জেলার উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মৌসম। বাকিরাও জানান, আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করার যে নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী, আমরা তা অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করব।