ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মভিটে আনন্দ ভবন, যা কিনা বর্তমানে জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের হাতে। এই বাড়িটির দায়িত্বে থাকা ট্রাস্টকে সব ধরণের কর থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আচমকাই উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের সেই আনন্দ ভবনকে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার আয়কর নোটিস পাঠাল প্রয়াগরাজ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। ঘটনাটিকে স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিহিংসার রাজনীতি বলছেন বিরোধীরা।
এই সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। এক কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, “আনন্দ ভবন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক মন্দির। এই বাড়ির উপর আয়কর নোটিস বিজেপির খারাপ মানসিকতার ফসল। তারা চায় ভারত কংগ্রেস-মুক্ত ও নেহরু-মুক্ত হোক। কেন্দ্রের নির্দেশেই এই কাজ করেছে প্রয়াজরাজ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। মানুষ কখনওই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।”
এই আয়কর নোটিস নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রয়াগরাজ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র চৌধরী জীতেন্দ্র নাথ সিং জানিয়েছেন আনন্দ ভবনের বিরুদ্ধে আয়কর নোটিস পাঠানো যায় না। কারণ এই বাড়িটির দায়িত্বে থাকা ট্রাস্টকে সব ধরণের কর থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, “আনন্দ ভবনের বিরুদ্ধ আয়কর নোটিস আনা ঠিক নয়। কারণ এই বাড়ি পরিচালনের দায়িত্বে রয়েছে জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টকে সব রকমের কর থেকে ছাড় দেওয়া রয়েছে। এই বাড়িটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি স্মারক। এটা শিক্ষার কেন্দ্র।”