ইন্দোরে তাঁর বিধ্বংসী বোলিং দেখার পর সতীর্থ ইশান্ত শর্মা জানিয়েছিলেন, মহম্মদ শামির কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েই নাকি ইডেনে দিন-রাতের টেস্টে খেলতে নামবেন তিনি! মজার ছলে হলেও ইশান্তের বক্তব্য একেবারে ফেলে দেওয়ার নয়। গত তিন বছরে শামির সাফল্যের গ্রাফ সত্যিই চমকে দেওয়ারই মতো। ইন্দোরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টেও বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট পান। তাঁর বিধ্বংসী বোলিং দেখে দক্ষিণ আফ্রিকান ডেল স্টেইন এই মুহূর্তে শামিকে বিশ্বের সেরা বোলার বলেছেন। সুনীল গাভাসকর আবার ম্যালকম মার্শালের সঙ্গে তাঁর তুলনা করেছেন। নিজের সাফল্যের রহস্য বর্ণনা করতে ডানহাতি তারকা পেসারটি জানিয়েছেন, উইকেটের চরিত্র পর্যালোচনা করে লেংথের বৈচিত্র্য ঘটাতে পারার দক্ষতাই তাঁর সেরা অস্ত্র। গতির তারতম্য ঘটিয়ে ব্যাটসম্যানদের বিব্রত করা। ইডেনে গোলাপি বলে দিনরাতের টেস্টে এটাই মহম্মদ শামির প্রধান অস্ত্র হতে চলেছে।
ইডেনের ঐতিহাসিক টেস্ট প্রসঙ্গে শামি জানিয়েছেন, সব কিছু সহজ ভাবে করাটা তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। তিনি বলেছেন, ‘‘একজন বোলারকে সব সময় উইকেটের চরিত্র ও তার আচরণের ব্যাপারটা ভাল করে বুঝতে হবে। আমি যখন দেখি উইকেট ক্রমশ মন্থর হচ্ছে, তখন নিজেই নিজেকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করি। ব্যাটসম্যানেরা অস্বস্তি বোধ করছে দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ি। সেই সঙ্গে গতির তারতম্য ঘটাতে থাকি।’’
ইডেনে ফ্লাডলাইটে গোলাপি বলে মহম্মদ শামিকে সামলাতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বেজায় মুশকিলে পড়বেন বলে বিশেষজ্ঞমহলের ধারণা।
সাম্প্রতিক দুরন্ত ফর্মের পাশাপাশি আসন্ন দিন-রাতের টেস্টে শামি আরও একটা সুবিধা পাবেন। সেটা হল গোলাপি বলে খেলার পূর্ব অভিজ্ঞতা। ২০১৬ সালে সিএবি সুপার লিগের ফাইনাল ম্যাচে ইডেনে গোলাপি বলে হাত ঘুরিয়ে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। চেনা ইডেনে গোধূলি বেলায় বোলিং কিংবা গোলাপি বলে স্যুইং সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল শামি।