কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেই বল্গাহীন আর্থিক উদারীকরণের নীতি নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় বিজেপি সরকার। কেন্দ্রের ফাঁকা রাজকোষে অর্থের যোগান অব্যহত রাখতে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যেই সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোট ২৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্ট্যাটিজিক অংশিদারিত্ব বিক্রির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কেন্দ্র। এই তালিকায় আছে এয়ার ইন্ডিয়ার নাম। সোমবার এমনই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এই ঘোষণার পরেই কেন্দ্রের এহেন অনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব কংগ্রেস।
কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেছেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি ‘দেশের সোনার ডিম।’ দেশের গর্ব। কিন্তু সেগুলো বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিক্রি করে ফাঁপা করে দেওয়া হচ্ছে”।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ভারত পেট্রলিয়াম, এয়ার ইন্ডিয়া, বেঙ্গল কেমিক্যাল বেসরকারির হাতে তুলে দেওয়া হবে। চলতি আর্থিক বছরে যে পরিমান অর্থ রাজকোষে আসার কথা, তার অনেক কম পরিমান অর্থ রাজকোষে জমা পড়েছে এখনও পর্যন্ত। তাতেই বেশ বিপাকে মোদি সরকার। পাশাপাশি স্লথ গতি দেখা গিয়েছে শিল্প উৎপাদনেও। কারখানাগুলিতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই আর্থিক ঘাটতি সামাল দিতে বিলগ্নিকরণের পথই বেছে নিচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
গোটা দেশেই শিল্প উৎপাদনের হাল বেহাল। গত সেপ্টেম্বর মাসে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৪.৩ শতাংশ হ্রাস হয়েছে। ২০১২ সালের এপ্রিলের পরে এই প্রথম দেশের শিল্প ক্ষেত্রের এমন হাল হল। শুধু তাই নয়, এই নিয়ে পরপর দু-মাস শিল্প উৎপাদনের ঊর্ধ্বগতি ধাক্কা খেল। আগস্ট মাসে শিল্প উৎপাদনে সূচক ১.১ শতাংশ কমে গিয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪.৬ শতাংশ হারে কলকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছিল। ফলে দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে চূড়ান্ত বিপাকে মোদী সরকার।