সাংবিধানিক এক্তিয়ার থেকে বেরিয়ে রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছেন রাজ্যপাল। বিজেপির মুখপাত্রদের মতোই সরকার বিরোধী মন্তব্য করে যাচ্ছেন তিনি। এ অভিযোগে দিন কয়েক ধরেই সরব তৃণমূল। গতকাল সংসদের অধিবেশনেও এ নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে ঘাসফুল শিবিরকে। কিন্তু তারপরও নিজের সেই কার্যকলাপ থেকে তো বিরত থাকেনইনি, বরং রাজ্য সরকারকে বিঁধতে ফের মুখ খুলেছেন জগদীপ ধনকড়। তারই পাল্টা দিয়ে এবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, জানতাম রাজ্যপাল আইনের বিশেষজ্ঞ। তিনি কী কথা বলছেন? ওঁর হোর্ডিং থাকবে রাস্তায়? উনি কি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব? না, দেশের স্টেটসম্যান। দেখছি ওঁর দাঁতেরও সমস্যা হচ্ছে। আগে দাঁত সামলান তারপর রাজ্য সামলাবেন।
সোমবার দুপুর থেকে বিষ্ণুপুরের আমতলায় জেলা তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের কার্যালয়ে হাওড়া, হুগলী জেলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-বিধায়ক, ব্লক সভাপতিদের নিয়ে চলা অভ্যন্তরীণ বৈঠকে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই বলেন পার্থ। ওই বৈঠকে ছিলেন সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ ববি হাকিম, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন-সহ অন্যান্যরা। গতকাল সন্ধের পর বৈঠক শেষে ফেরার পথে সাংবাদিকদের কাছে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, মেঘের আড়ালে ইন্দ্রজিৎ কথায় আছে। বুঝতে পারছি না কোন মেঘের আড়ালে রাজ্যপালের এই কাজটা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি তিনি জানান, কারা নদিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে খুন করল তা তদন্তে প্রমাণিত হবে। নির্বাচনের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীকে খুন করে তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, সব জায়গাতেই মূর্তি ভাঙছে। ওরা এই কাজে হাত পাকিয়েছে। বিবেকানন্দ থেকে লেনিন, আম্বেদকর সব মূর্তি ভাঙছে। জাতীয় নেতাদের তোয়াক্কা করছে না। মানুষ সব লক্ষ্য রাখছেন। এসএসসি পার্শ্বশিক্ষকদের অসুস্থতা সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। ১৭ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন প্রকল্পে বাকি। এমনকী সর্বশিক্ষা অভিযানেও ৫ হাজার কোটি টাকা বাকি। কেন্দ্রীয় সরকার যদি টাকা দিতে না পারে, আমরা কোথা থেকে পাব? রাজ্যের হাতে এত টাকা নেই, তবুও গতবার ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছি।