অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে ফের জমাট বাঁধলো নয়া বিতর্ক। জমিয়ত-এ-উলেমা-এ-হিন্দের সভাপতি সৈয়দ আর্শাদ মাদানি একটি ইংরাজি দৈনিকে বলেছেন, বিতর্কিত ভূমির বদলে মন্দির তৈরির জন্য অন্য কোথাও হিন্দুদের জমি দিতে পারত সুপ্রিম কোর্ট। তিনি মনে করেন, প্রমাণ যা ছিল, রায় তার বিপরীত হয়েছে।
মাদানি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সব প্রমাণই ছিল বাঁদিকে আর রায় গেছে ডানদিকে। রায়ে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে ১৮৫৭ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ওখানে নমাজ পড়া হত। মেনে নেওয়া হয়েছে যে, ১৯৩৪ সালে মসজিদের ক্ষতি করার জন্য হিন্দুদের জরিমানা করা হয়েছিল, ১৯৪৯ সালে ওখানে মূর্তি রাখাকে ভুল কাজ এবং ১৯৯২ সালে মসজিদ ভাঙাকে বেআইনি কাজ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।’
অযোধ্যা মামলা পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করবে জমিয়ত-এ-উলেমা-এ-হিন্দ, অযোধ্যা মামলায় তাঁরাও অন্যতম পক্ষ ছিল। তিনি জানান যে, সুপ্রিম কোর্ট এ কথা বলেনি যে মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ তৈরি হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘যদি সেটাই হয়ে থাকত তবে আমরা দাবি করতাম না, যারা মসজিদ ধ্বংস করল তারাই ওখানে মন্দির তৈরির জন্য জমি পেল।’
আর্শাদ মাদানি বলেন, ‘যা প্রমাণ ছিল তাতে মন্দির গড়ার জন্য হিন্দুদের অন্য কোথাও পাঁচ একর জমি পাওয়া উচিত ছিল যদিও সুপ্রিম কোর্ট ঠিক উল্টোটাই করেছে। মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ গড়লে ইসলামে তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সুপ্রিম কোর্ট সে কথা বলেওনি, তা হলে কী ভাবে জমিটা হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হল?’
১৪২ ধারা অনুযায়ী তাঁরা আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন মাদানি। তবে তিনি মনে করেন যে তাঁদের এই আবেদনে কোনও লাভ হবে না। কারণটা নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন, ‘সংবিধানে ১৪২ ধারা খুবই নির্দিষ্ট, তাতে জনস্বার্থের কথা স্পষ্ট ভাবে বলা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সেই যুক্তি খাটবে না কারণ বিচার আমরা পাইনি।’