অধিবেশন শুরুর আগেই মুলতুবি প্রস্তাবের নোটিশ দিয়ে রেখেছিল বিরোধী দলগুলি। এমনকী অধিবেশনের প্রথম দিনেই সংসদ চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ছিল। আজ, সোমবার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতেই সোচ্চার হয়ে উঠল বিরোধী বেঞ্চ। এদিন সভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে রীতিমতো চেপে ধরে কংগ্রেস। সরাসরি কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে মুর্শিদাবাদের পাঁচজন শ্রমিকের হত্যা নিয়ে কংগ্রেসের তরফে জানতে চাওয়া হয়, সেনাবাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে পাঁচ শ্রমিককে হত্যা করল জঙ্গীরা? সরকার জম্মু–কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কথা দিয়েছিল, উন্নয়ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে এই কাজ করা হয়েছে। তাহলে কোথায় গেল নিরাপত্তা?
কংগ্রেসের অভিযোগ, কাশ্মীরে বাংলার শ্রমিক মৃত্যুর ইস্যুকে মুখে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলা হলেও, তা আন্তর্জাতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তা করেছে স্বয়ং কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে সেখানে গেলে তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি যে রাহুল-সোনিয়ার ওপর থেকে এসপিজি সুরক্ষা তুলে নেওয়া হয়েছে। তা নিয়েও সরব হয় হাত শিবির। অন্যদিকে, এদিন সোচ্চার হতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কেও। তিনি বলেন, ‘ফারুক আবদুল্লাকে আটক করে রাখা হয়েছে। যা গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে লজ্জাজনক। গৃহবন্দীর কারণ কী? তা সরকারকে জানাতে হবে।’ সৌগত রায়ের সুরে সুর মিলিয়ে সরব হন ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝিও।