আগামীকাল থেকেই শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। জানা গেছে, অধিবেশন শুরুতেই আসতে চলেছে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিল। আর তারই প্রতিবাদে আগামীকাল থেকেই গুয়াহাটি-সহ উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের রাজধানীতে শুরু হচ্ছে প্রতিবাদ। আসামে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে। অবশ্য নেডা জোটের চেয়ারম্যান হিমন্ত বিশ্বশর্মা সকলকে আশ্বস্ত করেছেন, এ বারের বিলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। উত্তর-পূর্বের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে, এখানকার সমস্যা বুঝে প্রয়োজনীয় অদলবদল ঘটানো হয়েছে সংশোধনীটিতে।
গত লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও রাজ্যসভায় সরকার পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটি পেশই করা হয়নি। ফলে লোকসভা মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিলটিও খারিজ হয়ে যায়। সে সময় আসামে বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপির জোট শরিক এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বে নেডা জোটের অন্য দলগুলিও বিলের বিরোধিতায় নামে। যেই ঘটনার পর আসামে ইস্তফা দেন অগপর তিন মন্ত্রী।
কিন্তু এবারে বিলটি সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হওয়া প্রায় নিশ্চিত। তাই আসামে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, আসাম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ প্রতিবাদে নেমেছে। বাম গণতান্ত্রিক মঞ্চ নামের জোট গড়ে ১১টি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেছে, তারা সোমবার থেকে বিলের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নামবে। এমনকি উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যে আন্দোলন শুরু করবে উত্তর-পূর্ব ছাত্র সংগঠন নেসো।
আসু ও নেসোর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য এদিন বলেন, “আসাম চুক্তি অনুযায়ী বিদেশির সংজ্ঞা আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। তা বদলে দেওয়ার অর্থ আসাম চুক্তি অস্বীকার করা।’’ তবে হিমন্ত বিশ্বশর্মার বক্তব্য, আগের বিলের সঙ্গে এই বিলের বিস্তর ফারাক রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তর-পূর্বের সব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এই বিলের ফলে কারোর কোনো ক্ষতি হবে না। বরং লাভদায়ক হবে উত্তর-পূর্বই।