উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন জোর ব্যস্ততা তৃণমূলে। প্রচার নিয়ে তুমুল ব্যস্ততা খড়গপুরেও। প্রথম থেকেই বাকি প্রার্থীদের পিছনে ফেলে অনেক এগিয়ে আছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। এলাকায় মিশুকে, পরোপকারী বলে পরিচিত প্রদীপকে প্রার্থী হিসাবে পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষও। প্রচারে বেড়িয়ে বিজেপির ব্যর্থতাকেই হাতিয়ার করছে তৃণমূল।
সাড়ে তিন বছরের বিধায়ক। অথচ হাতে গোনা কয়েকদিন উপস্থিত ছিলেন নিজের বিধানসভা এলাকায়। বিধায়ক থেকে সাংসদ হয়েও রেল শহর খড়গপুরের কোনও সমস্যার কথা তুলে ধরেননি দিলীপ ঘোষ। তিনি আবার বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি। এহেন বিধায়কের ব্যর্থতা তুলে ধরলেন উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী প্রদীপ সরকার।
খড়গপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি জিতে এসে খড়্গপুরের জন্য যে কাজ রেলের করার কথা ছিল সেই কাজ তৃণমূল বিধায়ক করবে। হাসপাতাল, রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল থেকে রেলের অনুন্নয়ন, অসহযোগিতা বিধানসভায় তুলে ধরব। মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্যার কথা জানাব।’
সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, বিধায়ক থাকাকালীন খড়্গপুরের কোনও বিষয় নিয়ে তিনি বিধানসভায় প্রশ্নও করেননি। সাধারণত এলাকার সমস্যা তুলে ধরে অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে উন্নয়ন হয় বা সমস্যার সমাধান করা হয়। তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের অভিযোগ, রেলের অনুন্নয়ন, পুরসভাকে অসহযোগিতা, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, রাস্তা, স্টেডিয়াম নিয়ে উনি কোনওদিন একটিও প্রস্তাব জমা দেননি বিধানসভায়। শুধু বারে বারে খড়্গপুরে এসেছেন। রামনবমীতে গদা, তরোয়াল হাতে নিয়ে আস্ফালন করেছেন।