কথায় আছে, ‘যত দোষ, নন্দ ঘোষ’। মাসখানেক আগে সেই সুরই শোনা গিয়েছিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের গলায়। ‘মিলেনিয়াল’ বা নবীন প্রজন্ম গাড়ি কেনার চেয়ে ওলা ও উবের ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন, এই মানসিকতাই গাড়িশিল্পে বড়সড় প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির রোল পড়ে গিয়েছিল নেটিজেনদের মধ্যে। আর এবার দেশের আর্থিক মন্দা নিয়ে যাবতীয় সমালোচনাকে নস্যাৎ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি জানালেন, বিমানবন্দর কানায় কানায় পরিপূর্ণ, ট্রেনের সমস্ত আসন ভর্তি, বিয়ে করছেন দেশবাসী। তাই অর্থনীতি ঠিক আছে!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, খুব শীঘ্রই চালু হচ্ছে তুন্দা খুরজা ইস্টার্ন ফ্রেট করিডর। শুক্রবার সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অঙ্গদি বলেন, ‘বিমানবন্দর কানায় কানায় পরিপূর্ণ, ট্রেনের সমস্ত আসন ভর্তি, বিয়ে করছেন দেশবাসী। অথচ, কয়েকজন শুধুমাত্র মোদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ কাজ করছেন। প্রতি তিন বছর অন্তর অর্থনীতিতে চাহিদায় ভাটা পড়ে। এটা আবর্তনশীল। তারপর আবার মাথা তুলে দাঁড়ায় অর্থনীতি।’
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসে দেশের আর্থিক বদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। যা গত ছ’বছরে সর্বনিম্ন। দ্বিতীয় ত্রৈমাসে সেই বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের নীচে নেমে যেতে পারে বলে অনুমান। পাশাপাশি, গোটা অর্থবর্ষে সার্বিক বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের নীচে থাকতে পারে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। এরপরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা সাম্প্রতিক কালে বারবারই প্রমাণের চেষ্টা করেছেন যে অর্থনীতিতে সঙ্কট নেই। যেমন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ারের দাবি, দেশে কাজ প্রচুর। অভাব আসলে দক্ষ প্রার্থীর। আবার সঙ্ঘ-প্রধান মোহন ভাগবতের মতে, বেশি কথা বললেই বরং ক্ষতি অর্থনীতির। আর সর্বোপরি এক দিনে তিনটি সিনেমার ১২০ কোটি টাকার ব্যবসা মানেই অর্থনীতি চাঙ্গা, এই ‘তত্ত্ব আওড়ে’ সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এবার সেই তালিকায় জুড়ল অঙ্গদির নাম।