আজকের পৃথিবীতে মানুষের কাছে অন্যতম বড় সমস্যা ওষুধ। হ্যাঁ, ওষুধ মানুষের জীবন বাঁচায়, সেই ওষুধই আজকাল জীবন কেড়ে নিচ্ছে। এই ওষুধ ‘সঠিক’ এটা বোঝার জন্য মানুষ কতটা তৎপর? এই প্রশ্নের উত্তর আদতে নেই কারও কাছে। কারণ সমীক্ষা যা বলছে তাতে মানুষ তাঁর নিজের জীবন নিজেই দুর্বিসহ করে তুলছে। সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে, ভারতের বাজারে মোট বিক্রিত ওষুধের প্রায় ২৫ শতাংশই জাল! বিশেষজ্ঞরা বারংবার সাবধান করলেও তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই কারওরই।
২০১০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ আগেই সাবধান করে রিপোর্ট দিয়েছিল যে, সারা বিশ্বে বিক্রিত চিকিৎসার সরঞ্জামের প্রায় ৪ শতাংশ জাল। যতদিন যাচ্ছে তত এই সমস্যা বেড়ে চলেছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও বড় আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপরই বড় ধামাকা দেয় দি অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি–এর রিপোর্ট। তথ্য দেওয়া হয়, ভারতের বাজারে মোট বিক্রিত ওষুধের প্রায় ২৫ শতাংশই জাল! যার ব্যবসার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই জাল ওষুধ গুলির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, ম্যালেরিয়ার ওষুধ, ব্যথা কমানোর ওষুধ, এমনকি জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধও।
বিশেষজ্ঞরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে, ওষুধ তৈরি থেকে শুরু করে তার ব্যবহার পর্যন্ত যে পদ্ধতি, তাতে যথাযথ নিয়ম ও শর্ত কোনওটাই মানা হয় না। অন্যদিকে, অনেক রাজ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীদের সঠিক গুণমানের ওষুধ পর্যন্ত দেওয়া হয় না। এর কারণে বাড়ছে রোগের পরিমাণও। বিশ্বব্যাপী ওই জাল ওষুধের কারবার বন্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি। পাশাপাশি, কয়েকশো কোটি টাকার অবৈধ ও জাল চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও। কিন্তু আখেরে তাতে লাভ কিছু হয়নি।