সাড়ম্বরে দিল্লী গিয়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের কিছুদিন পরেই পদ্ম মায়া ত্যাগ করেছেন শোভন-বৈশাখী দু’জনেই! এদিকে, তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কও বহাল রয়েছে তা বলাই যায়, কারণ মমতার বাড়িতে, কলকাতা চলচিত্র উৎসবের অনুষ্ঠানে সর্বদা দেখা যাচ্ছে তাঁদের। অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা বৈঠক করলেন বৈশাখী। তবে কি এবার ফের ঘাসফুল আসছেন শোভন? এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়েও জল্পনা জিইয়ে রাখলেন শোভন-বান্ধবী।
‘শোভনদা চেয়েছিলেন আমি সক্রিয় রাজনীতিতে আসি, তাই বিজেপিতে গিয়েছিলাম। তবে আমার মতো সামান্য শিক্ষিকার বিজেপিতে দরকার নেই। তাই বিজেপিতে আমি থাকলাম কি না থাকলাম, তাতে বিজেপির কিছু যায় আসে না।’ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই মন্তব্যে শোভনের তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি আরও কৌতূহল বাড়িয়ে দিল।
উল্লেখ্য, বৈশাখী শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিসে যান বৈঠক করতে। ঠিক কী বিষয় কথা হয়েছে তা না বললেও, পার্থ বলেন যে বৈশাখীর কলেজ সংক্রান্ত কিছু সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক কোনও আলোচনা তাঁদের মধ্যে হয়নি।
প্রসঙ্গত, ভাইফোঁটার দিন কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখীও। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ফোঁটাও নেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। পরবর্তী সময় মমতা সরকারের অনুষ্ঠানেও দেখা মিলেছে তাঁদের। তাই শোভন-বৈশাখী এবং তৃণমূল নিয়ে আলোচনা হওয়াটা যথেষ্টই স্বাভাবিক। কিন্তু সরাসরি কোনও পক্ষ থেকেই কিছু বলা হচ্ছে না।