প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বিশাখাপত্তনমে ডবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। আর ঠিক তার পরের সিরিজেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফের ডবল সেঞ্চুরি এল ভারতীয় ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ব্যাট থেকে। সেওয়াগের মতোই ছক্কা মেরে ডবল সেঞ্চুরি করলেন তিনি। এদিন সকাল থেকে বাংলাদেশের বোলারদের সঙ্গে রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন মায়াঙ্ক। তাঁর ব্যাটে ভর করেই বড় রানের দিকে এগিয়েছে ভারত।
আগের দিন হাফসেঞ্চুরির থেকে ১৩ রান দূরে দিনের খেলা শেষ করেছিলেন মায়াঙ্ক। এদিন শুরু থেকেই পজিটিভ দেখাচ্ছিল তাঁকে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার পরেই নিজের হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন চেতেশ্বর পূজারা। কিন্তু ৫৪ রান করে আবু জায়েদের বলে আউট হন তিনি। তারপরেই বড় ধাক্কা খায় ভারত। মাত্র দ্বিতীয় বলেই খাতা না খুলেই এলবিডব্লু হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান বিরাট কোহলি। দিনের দ্বিতীয় উইকেট নেন আবু জায়েদ। এই দুই ধাক্কার পরে ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু তা হতে দিলেন না মায়াঙ্ক ও অজিঙ্ক রাহানে।
লাঞ্চের আগে ৯১ রানে ছিলেন মায়াঙ্ক। লাঞ্চের পরে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন মায়াঙ্ক। অন্যদিকে নিজের হাফসেঞ্চুরি করেন রাহানেও। তাঁর সামনেও সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ৮৬ রানের মাথায় আপারকাট খেলতে গিয়ে নিজেই উইকেট দিয়ে আসেন রাহানে। অন্যদিকে অবশ্য নিজের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মায়াঙ্ক। ডবল সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন স্যর রবীন্দ্র জাদেজা।
ডবল সেঞ্চুরির দিকে এগোলেও এক মুহূর্তের জন্যও নড়বড়ে দেখায়নি তাঁকে। ভাল বল ছাড়ছিলেন, মারার বল মারছিলেন। মেহেদি হাসানের বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে অবশেষে নিজের ডবল সেঞ্চুরি করএন মায়াঙ্ক। আজকের পর মাত্র আট টেস্টে দুটি ডবল সেঞ্চুরি এল মায়াঙ্কের ব্যাট থেকে। যদিও শেষ অবধি ২৪৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।