শিবসেনার সঙ্গে জোট ভেস্তে যেতে একপ্রকার ফসকেই গিয়েছে মহারাষ্ট্রের গদি। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। আবার মহারাষ্ট্রের মত ঝাড়খন্ডেও অশান্তি শুরু হয়েছে এনডিএ পরিবারের মধ্যে। এবং তা-ও ঠিক সে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। এ হেন পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরকে বাড়তি বেগ দিতে এবার ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী দিচ্ছে তৃণমূল। ঝাড়খন্ডের বাঙালি ভোটব্যাঙ্ককে নিজেদের দিকে টেনে কিছু আসন জিতে কিস্তিমাত করতে চাইছে তারা।
প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা পাঁচ দফার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দু’দফার তেত্রিশটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আজ, বৃহস্পতিবার বৈঠকে চূড়ান্ত হবে বাকি দফাগুলিতে কটি আসনে প্রার্থী দেবে ঘাসফুল শিবির। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও দলের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হলেও কথা চলছে ঝাড়খন্ডের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খন্ড বিকাশ মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাবুলাল মারান্ডির সঙ্গে।
ঝাড়খন্ডের তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, আমরা প্রথম দু’দফার ৩৩ আসনের মধ্যে ৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত কোনও দলের সঙ্গে জোট চূড়ান্ত না হলেও বাবুলাল মারান্ডির দলের সঙ্গে কথা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ দফায় নির্বাচন হচ্ছে সে রাজ্যের ৮১টি বিধানসভা আসনে। আপাতদৃষ্টিতে আর পাঁচটা রাজ্যের নির্বাচনের সঙ্গে এই নির্বাচনের কোনও তফাৎ না থাকলেও বাংলার রাজনীতির বিচারে পড়শি রাজ্য ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাট কার দখলে যাবে, তার বাড়তি গুরুত্ব যে রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। তাই সেইখানেও প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে বাংলার শাসক দল।