বুলবুল বিধ্বস্ত বসিরহাট পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে আকাশপথে গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তড়িঘড়ি যাতে দুর্গতদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার রাতে বাংলায় আছড়ে পড়ে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ব্যাপক ক্ষতি হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানায়। বুলবুলের দাপটে বিপর্যস্ত উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই এলাকাতেই প্রাণহানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বসিরহাটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আকাশপথে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর প্রশাসনিক বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিপর্যস্তদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নজর দিন ত্রাণ নিয়ে যেন কারও ক্ষোভ না থাকে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুকনো খাবার, দুধ দুর্গতদের হাতে তুলে দিন। ত্রাণ নিয়ে কোনও রাজনীতি যেন না হয়। সবাই যাতে ত্রাণ পায় তা দেখতে হবে।’ এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্টও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বুলবুলের প্রভাবে নদীবাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ধান, পানের বরোজ, শাকসবজির।’ বিশেষজ্ঞদের দাবি, সুন্দরবনকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা করেছে ম্যানগ্রোভ। তাই বসিরহাটের নদীবাঁধগুলিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ম্যানগ্রোভকে বাঁচানোর নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত বসিরহাটের বহু জায়গাই জলমগ্ন। ওই জায়গাগুলিতে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবাও। আপাতত ওই এলাকাগুলিতে কেরোসিন বিলির পরামর্শও দিয়েছেন মমতা। বুলবুল মোকাবিলায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের তৎপরতার জন্য তাঁদের দরাজ সার্টিফিকেটও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠক শেষ হওয়ার পর বুলবুলের প্রভাবে নিহতদের পরিজনদের হাতে দু’লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।