দীপাবলির সময় থেকে মারাত্মক দূষণের কবলে দিল্লী। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছিল যে যমুনার জল পরিণত হয়েছে গাঢ় ফেনায়। পরিস্থিতির জেরে বন্ধ রাখতে হয় স্কুল-কলেজ। তারপরে দূষণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বুধবার ভোর থেকে ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে গেল দিল্লী। বাতাসের মান পৌঁছে গেল সিভিয়র ক্যাটেগরিতে। তা এ দিনই ‘সিভিয়র প্লাস’ বা ‘ইমার্জেন্সি’ ক্যাটেগরিতে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দিল্লী ও এনসি আরে দুষণের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আগামী দু দিনও রাজধানীতে একইরকম দূষণ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার পর থেকে কিছুটা কমতে পারে দূষণের মাত্রা। তবে তা কমেও থাকবে ‘পুওর’ ক্যাটেগরিতে। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় খড় পোড়ানো গত কয়েকদিনে আরও বেড়েছে। এ ছাড়াও দিল্লীর দুষণ তো রয়েইছে। সব মিলিয়ে ফের দূষণ বিষে হাঁসফাঁস করতে দিল্লী ও তার সংলগ্ন এলাকা।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হিসেব বলছে, এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ দিল্লীর লোধি রোড এলাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৫০০। নয়ডায় তা ছিল ৪৭২। মঙ্গলবার দিল্লীর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বিকেল চারটেয় ছিল ৪২৫ ও রাত ৯টায় ছিল ৪৩৭। সোমবার বিকেল চারটেয় তা ছিল ৩৬০।