বুলবুলে বিপর্যস্ত বাংলার একাংশ। গত সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বুলবুল-বিপর্যস্ত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর পরিদর্শনের পরদিনই নবান্নে হল টাস্ক ফোর্সের বৈঠক। সরকারি ছুটি থাকলেও মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে কৃষি, স্বাস্থ্য ও পঞ্চায়েত ও সংশ্লিষ্ট ১৪টি দফতরের কাছে বিস্তারিত তথ্য চাইলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। আগামী শুক্রবার বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি জানতে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।
বুলবুলের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে দু’টি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি টাস্ক ফোর্স রাজ্যস্তরে কাজ করবে, দ্বিতীয়টি জেলাস্তরে। কাকদ্বীপে মুখ্যমন্ত্রী আপাতভাবে জানিয়েছিলেন, বুলবুলের দাপটে রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে বিধ্বস্ত এলাকায় যাবেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে বসিরহাটের ক্ষতিই সর্বাধিক। তাই বসিরহাটে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের হিসাব, ধানখেত জলের তলায় চলে গিয়েছে। পানের বরাজের ক্ষতি মারাত্মক। একরের পর একর শীতের সবজি নষ্ট হয়েছে। বিদ্যুতের বহু সাবস্টেশন উড়ে গিয়েছে। কয়েক কোটি টাকার চিংড়ি ও অন্য মাছ নষ্ট। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পর্যটনের।
আগামীকালের মধ্যে কৃষি, মৎস্য, পর্যটন, বিদ্যুৎ-সহ ১৪টি দফতরের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সাতটি জেলাও রিপোর্ট দেবে। কেন্দ্রীয় দলকে এই রিপোর্ট দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাও ঘুরে দেখবেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা।