বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি, তেমন চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুই কারণেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে। গাড়ি শিল্প থেকে আবাসন- সর্বত্রই বাজারে চাহিদা বাড়ন্ত। বিক্রিবাট্টা না থাকায় শিল্পোৎপাদন যেমন কমছে। তেমন পরিকাঠামো শিল্পও সঙ্কুচিত। বৃদ্ধিও ছ’বছরের সবচেয়ে নীচে। অনেকের মতে, এই অবস্থায় দেশে ব্যবসার আস্থাই বা অটুট থাকে কী করে! সোমবার ভরসা হারানোর সেই আশঙ্কাই মজবুত হল আর্থিক নীতি গবেষণা ও অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়ের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চের (এনসিএআইআর) সমীক্ষায়। যেখানে ব্যবসা করার মানসিকতার প্রতিফলন, ওই আস্থা সূচক কমেছে তো বটেই। সেই সঙ্গে একেবারে তলিয়ে গিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়ের নীচে।
সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহজে ব্যবসার মাপকাঠিতে ১৪ ধাপ এগিয়েছে ভারত। সারা বিশ্বে ১৯০টি দেশের মধ্যে জায়গা পেয়েছে ৬৩ নম্বরে। তবে ওই রিপোর্টও বলেছিল, সাফল্য এসেছে এ দেশে সহজে ব্যবসা গোটানোর হাত ধরে। ব্যবসা শুরুর মাপকাঠিতে ভারত সেই শেষ বেঞ্চেই বসে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এনসিএইআরের সমীক্ষায় সেটাও ফের প্রমাণ হল। এনসিএইআর-এর বিজনেস কনফিডেন্স ইনডেক্স বা ব্যবসার আস্থা সূচক চলতি অর্থবর্ষের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২.৫ শতাংশ কমেছে। আর আগের ত্রৈমাসিকের থেকে কমেছে ১৫.৩ শতাংশ। তারা জানিয়েছে, অর্থনীতি ঝিমিয়ে থাকাই এর কারণ। অন্যদিকে, সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, আগস্টের মতো সেপ্টেম্বরেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সরসরি কমে গিয়েছে শিল্পোৎপাদন। তবে আগস্টের ১.৪ শতাংশের (সংশোধিত) থেকে সেই সঙ্কোচনের হার এবার আরও অনেক বেশি, ৪.৩ শতাংশ। যা আট বছরে সবচেয়ে খারাপ।