দেশের অর্থনীতির খারাপ অবস্থার প্রভাবে জেরবার দেশবাসী। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এই অর্থনীতির প্রভাব পড়েছে। ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে একাধিক সরকারি সংস্থার। বেতন পাননি বহু কর্মচারী। তার জেরে দেশে বাড়ছে আত্মহত্যার সংখ্যা। দিন কয়েকের ব্যবধানে ফের কেরালায় বিএসএনএলের আরও এক চুক্তিবদ্ধ কর্মী আত্মহত্যা করলেন। ছ-মাস ধরে তিনি বেতন পাচ্ছিলেন না। মঙ্গলবার চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। বিএসএনএলের আত্মঘাতী কর্মীর নাম অনিল কুমার (৪০)।
অনিলের পরিবার জানান, ছ-মাস ধরে বেতনের একটি কানাকড়িও পাননি। ফলে, সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। চারদিকে দেনা বাড়ছিল। এহেন পরিস্থিতিতে চরম পথ বেছে নিতে তিনি বাধ্য হন। বিএসএনএল সিসিএলইউ-এর কার্যনির্বাহী সভাপতি কে মোহনানের অভিযোগ, রিল্যায়েন্স জিও-কে তুলে ধরতে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের কারণেই বিএসএনএলের বর্তমান এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রিলায়েন্স জিও-র জন্যই বিএসএনএলকে ৪জি পরিষেবা চালুর অনুমতি দেয়নি কেন্দ্র। তার ফল এখন ভুগতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, একই কারণে গত ৭ নভেম্বর ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল)-এর অফিসেই আত্মহত্যা করেন রামকৃষ্ণন। বিএসএনএলের এই চুক্তিবদ্ধ কর্মীও শেষ ১০ মাস ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না। গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনাটি ঘটে কেরালার মালাপ্পুরমে, ওয়ান্দুরের বিএসএনএল দফতরে। বিগত ৩০ বছর ধরে বিএসএনএলের অফিসে পার্ট-টাইম সাফাইকর্মীর কাজ করছিলেন রামকৃষ্ণন। অফিস ইউনিয়নের নেতারা জানান, বিগত ১০ মাস ধরে চুক্তিবদ্ধ ওই কর্মী বেতন পাচ্ছিলেন না। বকেয়া বেতনের দাবিতে গত জুনের শেষ থেকে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু, দাবিপূরণ হয়নি।