মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নাটক অব্যাহত। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে বেশ কিছুদিন হতে চলল। তবে এখনও কে মহারাষ্ট্রের মসনদে বসবেন তা ঠিক হয়নি। এই রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী দল তথা বিজেপির শরিক শিবসেনার সঙ্গে মত পার্থক্যের জেরে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে টালবাহানা চলছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁট ছড়া বাঁধতে পারে শিবসেনা এমন খবরেও সরগরম রাজনীতির আবহাওয়া। এদিকে সরকার গঠনের শেষ দিন চলে গেছে। নিরুপায় হয়ে বিজেপিকেই সরকার গঠনের জন্য আহবান জানিয়েছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশয়ারি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৈঠক ছিল। সেখানেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করে দিল রাজ্য বিজেপি। শিবসেনা সহায়তা না করায় সরকার গঠনের মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যা তাঁদের হাতে নেই। ফলে তাঁরা সরকার গঠন করতে রাজি নয়। জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল।
রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, চন্দ্রকান্ত পাটিল–সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সংবাদমাধ্যমে জানান, আমরা সরকার গঠন করছি না। বিজেপি-শিবসেনা জোটকে ভোট দিয়েছিল মানুষ। শিবসেনা যদি সেই জনাদেশকে অসম্মান করে এনসিপির সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ে তাহলে তা করুক। ওদের প্রতি আমাদের শুভকামনা রইল।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র সরকার গঠন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপির হাতে এসেছে ১০৫ আসন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৪৫ বিধায়কের সমর্থন। সেক্ষেত্রে তদের শিবসেনার সমর্থন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শিবসেনা ৫০-৫০ ফর্মুলার কথা বলায় তা শেষপর্যন্ত ভেস্তে যায়। শিবসেনার দাবি ছিল আড়াই বছর শিবসেনা শিবির থেকে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। বাকি সময় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বিজেপি শিবির থেকে।