‘বাংলা ভাষাতেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা চাই। চাই মেডিক্যাল পরীক্ষাও’। তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বর্ধিত সভা সেরে এভাবেই ফের বাংলার দাবিতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বহু আগে চিঠি দিয়েছেন বাংলায় জয়েন্ট পরীক্ষার জন্য। শুনলাম আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা করার জন্য গুজরাটের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রও দাবি জানিয়েছিল। আমার প্রশ্ন হল তাহলে মহারাষ্ট্রের দাবি উপেক্ষা করে কেন শুধু গুজরাটি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো? আমি গুজরাটি ভাষার পক্ষে। গুজরাটি ভাষা ভালবাসি। দেশের সব ক’টি ভাষা আমার প্রাণ। কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যদি গুজরাটি ভাষায় জয়েন্ট পরীক্ষা হয়, তাহলে ভারতবর্ষের সবক’টি আঞ্চলিক ভাষাতেও পরীক্ষা করতে হবে। আমার দাবি মেডিক্যাল পরীক্ষাও হোক বাংলাতে। আমরা অন্য ভাষা শিখি। শিখতেই হয় কাজের জন্য। কিন্তু মাতৃভাষায় পরীক্ষা দেওয়া গেলে সেটা তো পড়ুয়াদের পক্ষে ভালই হবে, সব পড়ুয়ার পক্ষেই ইতিবাচক হবে’।
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/3180161348723944/
তপসিয়ায় তৃণমূলভবনে এদিন বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে ওয়ার্কিং কমিটির বর্ধিত বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয়বস্তু জানাতে গিয়ে নেত্রী বলেন, ‘এনআরসি নিয়ে প্রচার চলবে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ভারতবাসী হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে ভাবতে হবে। একটার পর একটা তথ্যপঞ্জি চাইছে সরকার। মানুষ ক’টা তথ্যপঞ্জি তৈরি করবে? ওপার বাংলা থেকে যারা উদ্বাস্তু হিসেবে এসেছিলেন দীর্ঘদিন ধরে তারা ভারতের নাগরিক। তাহলে তাদেরকে আবার নতুন করে কেন নাগরিকত্বের পরিচয় দিতে হবে? এ নিয়ে আমাদের প্রচার চলবে। ১০তারিখ নবী দিবস এবং ১২ তারিখ গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মদিন। তাই ওই দু’দিন দিন বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১১ই নভেম্বর রাজ্যের সমস্ত ব্লক, ওয়ার্ড জুড়ে তৃণমূল এনআরসি নিয়ে প্রচার করবে। এছাড়া যুব তৃণমূল যুব কংগ্রেসকে বলেছি একটি দিন দেখে রানি রাসমণি অথবা কাছাকাছি কোথাও সভা করতে’।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন মনে করিয়ে দেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই অযোধ্যার রায় বের হবে। এ ব্যাপারে সমস্ত মানুষকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে দলের মধ্যে একমাত্র আমিই বলব’।