সপ্তাহ কয়েক আগেই প্রচুর ডঙ্কা বাজিয়ে আমেরিকার হিউস্টনে প্রবাসী ভারতীয়দের কাছে ‘হাউডি মোদী’ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একমুখ হাসি নিয়ে তাঁর পাশে তখন ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে চিঁড়ে ভেজেনি তার প্রমাণ মিলল ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসি নামের একটি সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্টে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কড়া অভিবাসন নীতি অনুযায়ী সম্প্রতি অগুণতি এইচ-১বি ভিসার আবেদন বাতিল করেছে ট্রাম্প সরকার। যেখানে ২০১৫-য় মাত্র ৬ শতাংশ এইচ-১বি ভিসা বাতিল হয়েছিল, সেখানে চলতি বছরে এপর্যন্ত ২৪ শতাংশ আবেদন নাকচ হয়েছে। যেগুলির মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয় বড় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির কর্মীদের ভিসার আবেদন। এপ্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মোদীকে বিঁধে টুইট করেছেন, ‘সবার উচিত বিজেপি সরকারকে প্রশ্ন করা, তাদের শাসনে ঠিক কাদের উন্নয়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় গেলেন হাউডি মোদী–তে অংশ নিতে। কিন্তু আমেরিকা সেই সব ভারতীয়দের এইচ-১বি ভিসা ক্রমাগত বাতিল করে চলেছে যাঁরা ওখানে গিয়ে কাজ করতে চান’। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, কাজের বাজারের অধোগতি নিয়েও মোদী সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। টুইটারে প্রিয়াঙ্কার ঠেস, ‘দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। পরিষেবা ক্ষেত্র ধুঁকছে।কর্মসংস্থান তলানিতে। দেশবাসী হতাশ অথচ শাসক দলের ভ্রুক্ষেপ নেই।’
বহু মার্কিন কোম্পানি ভারত, চীন-সহ এশীয় দেশগুলি থেকে প্রায় প্রতিবছরই কর্মী নিয়ে যায় এইচ-১বি বা কাজের ভিসার মাধ্যমে। এই সব কর্মীদের মধ্যে বেশিভাগই ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। অল্প বেতনে এভাবে ভারত বা এশিয়া থেকে বড় মার্কিন কোম্পানিগুলির কর্মী নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।