পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বা ইপিসিএর করা আবেদনের শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সরকারকে। কড়া ভাষায় শীর্ষ আদালত বলেছে যে, খড় পোড়ানো বন্ধ করে যেমন ভাবেই হোকবেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কেননা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হলে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবে দেশ।
এদিন রীতিমতো শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় পাঞ্জাব সরকারকে। কেননা তাঁরা আদালতকে জানিয়েছিল যে কৃষকদের খড় পোড়ানো রোখা প্রায় অসম্ভব। এই নিয়েই সরকারকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলে যে দূষণ রুখতে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। পাশাপাশি খড় পোড়ানো আটকানোর বিষয়টি কিছু সরকারি আধিকারিকদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আদালত বলেছে, “এবার তাহলে সময় এসেছে আধিকারিকদের শাস্তি দেওয়ার”। সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে, মুখ্য সচিব তাঁদের অপারগতার কথা তুলে ধরতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে আদালত।
মানুষ মারা যাচ্ছেন, দূষণের মাত্রা এখন ১৮০০ ছাড়িয়েছে, বিমানের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে আর আপনারা আপনাদের কাজ নিয়ে গর্ববোধ করছেন?”, কড়া সুরে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও দীপক গুপ্তার সমন্বয়ে গঠিত দুই বিচারপতির বেঞ্চ। সরকার নিজেদের নিষ্ক্রিয়তার দায় কৃষকদের উপর চাপাচ্ছে, কোনও দেশে সরকার খড় পোড়ানোর অনুমতি দিতে পারে না, এমন কথাও বলে শীর্ষ আদালত।
অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল বলেন,”কৃষকরা বলছেন যে এটি তাঁদের জীবিকার উপর প্রভাব ফেলবে এবং এ ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় নেই,” এই কথার জবাবে সুপ্রিম কোর্ট বলে যে, “হরিয়ানা যদি এই খড় পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তবে পাঞ্জাব নয় কেন? কেউ জৈবিক উপায় কেন চেষ্টা করছে না”, পাল্টা বলে সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে দু-পক্ষই।