মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক বারই গেরুয়া শিবিরের তরফে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, বাংলার পরিবেশ-পরিস্থিতি খুবই অশান্ত। কেন্দ্রীয় সরকারি ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক সমীক্ষার কাজ করতে গেলে বাংলায় বাধা দেওয়া হয়। অসহযোগিতা করা হয়। তথ্য জানানো হয় না। তবে সোমবার বিজেপির এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিল স্বাস্থ্য সহ একাধিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতীয় সমীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা তথা বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ (আইআইএইচএমআর)।
প্রসঙ্গত, সারা দেশের স্বাস্থ্য, সমাজিক উন্নয়ন-সহ একাধিক বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে ইতিমধ্যে আটশোর বেশি সমীক্ষা করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এবার তারা দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সহ অজস্র বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সমীক্ষা, ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫-এর জন্য বাংলার তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব পেয়েছে। মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সংস্থার প্রায় ২০০ কর্মী ও আধিকারিক বাংলায় ১৬ হাজার ৮০০ বাড়িতে গিয়ে এই জাতীয় সমীক্ষার জন্য তথ্য সংগ্রহ করছে। ৭ নভেম্বর সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হবে।
গতকাল কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কাজে সহযোগিতার জন্য দ্বিধাহীনভাবে রাজ্য সরকারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন আইআইএইচএমআর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা সভাপতি ডঃ পঙ্কজ গুপ্তা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলার প্রশাসনের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। বাদুড়িয়ায় আমাদের কর্মীদের এনআরসি-র লোক ভেবে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করায় সেই সমস্যাও মিটে যায়।
পঙ্কজবাবু জানিয়েছেন, ১৬ হাজার ৮০০ বাড়ির মধ্যে ৯৮ শতাংশ বাড়ি থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। জেলাশাসক, পুলিস সুপার থেকে শুরু করে ব্লকস্তরের আধিকারিক- অধিকাংশ জায়গা থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সংস্থার গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান মানসী মিশ্রা বলেন, শুধু সহযোগিতাই নয়, প্রশাসনের তরফ থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজে সাহায্য করতে যে চিঠি আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেগুলি বয়ান-বক্তব্য এবং অন্যান্যদিক থেকে এতটাই নিখুঁত যে, সারা দেশের মধ্যে সেগুলি ‘মডেল লেটার’ বলে মনে করছি।