রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের যেমন কাজ করার চাপ আছে, তেমনই আছে ঢালাও ছুটির ব্যবস্থা। ছুটি নিয়ে কখনও অভিযোগ নেই সরকারি কর্মকর্তাদের। মমতার সরকার বারবার এই ব্যাপারে উদ্যোগী থেকেছেন। যেকোনো রকম অনুষ্ঠানে কর্মচারীরা আনন্দে কাটাতে পারেন। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার সামনে বছরের ছুটির তালিকা প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। সারা বছরের সেই তালিকায় পুজোয় টানা ১৫ দিন ছুটির কথা যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে অনেক চমক। এবার সরস্বতী পুজোতেই ক্যালেন্ডার চার দিনের ছুটির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। শুধু সরস্বতী পুজোই নয়, দোল থেকে ছট সবেতেই রয়েছে চমকের পর চমক।
রাজ্য সরকার প্রকাশিত আগামী বছরের ছুটির ক্যালেন্ডার বলছে জানুয়ারিতেই লম্বা ট্যুরের প্ল্যান বানানো যাবে। সরস্বতী পুজো ৩০ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার। পরের দিনটা ৩১ জানুয়ারিও ছুটি। সঙ্গে শনি আর রবি জুড়ে নিলে তো আর কথাই নেই। টানা চারদিন। আবার দোল ৯ মার্চ, সোমবার। পরের দিনটাও হোলির জন্য সরকারি ছুটি। সুতরাং, আগের শনি-রবি ধরলে সেই সময়েও চারদিনের লম্বা সফরে যাওয়াই যাবে।
মে মাসের তো মজাই আলাদা। পয়াল মে শুক্রবার মানে টানা তিন দিন। এর পরে ৭ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ৮ মে রবীন্দ্রজয়ন্তী বৃহস্পতি ও শুক্রবার। সুতরাং, আবার চার দিন টানা ছুটি। এখানেই কি শেষ নাকি! ২৫ মে সোমবার ইদ-উল-ফিতর। পরের দিনটাও ছুটি। শনি-রবি মিলিয়ে সেও চার দিনের।
এর পরে ছুটির মাস অক্টোবর। গান্ধী জয়ন্তী শুক্রবার। সঙ্গে জুড়ে নেওয়াই যাবে শনি আর রবিকে। এর পরে ১৩ অক্টোবার তৃতীয়া থেকে পুজোর ছুটি। তারও আগে শনি রবির ছুটি। পুজোর ছুটি চলবে ৩০ অক্টোবার পর্যন্ত।
নভেম্বরে কালী পুজো ১৪ তারিখ শনিবারে। ভাইফোঁটার ছুটি দু’দিনের। ১৬ ও ১৭ আবার সোম-মঙ্গল। সুতরাং, তখনও টানা চারদিন। ১৯ ও ২০ দু’দিনের ছট পুজোর ছুটিও বৃহস্পতি আর শুক্রে। সুতরাং, আবার টানা চারদিন। যেমন কথা দিয়েছিলেন তেমনই কথা রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।